বিএনপির নেতাকর্মীদের কারামুক্তিতে ৪র্থ (চতুর্থ)বারের মত পুনরায় শ্যোন অ্যারেষ্ট :: জেলা বিএনপির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ।
ডেস্ক ২৪:: বর্তমান স্বৈরাচারি সরকার দমন পিড়ন হামলা-মামলা ও গ্রেফতারের মাধ্যমে বিরোধী দলমত দমনের ধারাবাহিকতায়, বিগত সরকার বিরোধী আন্দোলনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় স্তব্দ করার লক্ষ্যে জেলা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্রমূলক একাধিক মামলা দায়ের করে।
গত ২৬/১০/১৫ইং রোজ সোমবার জেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়ক, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ ৪২ জন নেতাকর্মী আইনের প্রতি পূর্ন শ্রদ্ধা রেখে আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে, তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
পরবর্তীতে ১৭ ও ২৬ নভেম্বর এরপর ২ ডিসেম্বর ৩ বার হাইকোর্ট থেকে জামিন আদেশ দেয়া হয়। কিন্তু প্রতিবারের ন্যয় আবারও গতকল্য ২১ ডিসেম্বর তাদের জামিন দেয়া হলেও ৪র্থ (চতুর্থ) বারের মত শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে কারামুক্তিতে বাধা দেয়া হয়।
জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ জোরালো প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলেন, জেলার রাজনীতির বিগত দিনের ইতিহাসে এত সংখ্যায় নেতাকর্মীদের বার বার জামিনের পরও শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে কারাগারে আটক রাখার নজির নাই। নেতৃবৃন্দ বলেন, আসন্ন পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কখনো মামলা কখনো গ্রেফতার এবং শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মধ্যে যারা সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী হিসেবে ইতিমধ্যে আলোচিত, তাদের সহ সকলকে বার বার শ্যোন অ্যারেষ্ট দেখিয়ে কারান্তরীন রাখার মাধ্যমে সকলের নিকট দিবালোকের মত স্পষ্ট যে, সরকার আতঙ্ক সৃষ্টি করে পৌর নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থীকে সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য এহেন নির্লজ্জ, অমানবিক, অপকর্ম বার বার করে যাচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আটককৃত সকল নেতৃবৃন্দকে অবিলম্বে নি:শর্ত মুক্তি দিয়ে, পৌর নির্বাচনে সরকারি প্রশাসনকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থেকে লেভেল প্লেইং ফিল্ড সৃষ্টির জন্য জোরালো আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সদর থানা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জি: খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, সাবেক সহ-সভাপতি জিল্লুর রহমান, সহ-সভাপতি এড: শফিকুল ইসলাম, সাবেক সহ-সভাপতি হাজী জাহাঙ্গীর, সাবেক সহ-সভাপতি মোবারক মুন্সি, সহ-সভাপতি এড: গোলাম সারোয়ার খোকন, সাবেক সহ-সভাপতি মো: রফিকুল হক, সাবেক সহ-সভাপতি ও জেলা বারের সভাপতি এড. আব্দুল মান্নান, যুগ্ম সম্পাদক (১) এড: আনিসুর রহমান মঞ্জু, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক এড. তরিকুল ইসলাম রুমা, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হেফজুল বারী, সাবেক দপ্তর সম্পাদক আলহাজ্ব এবিএম মোমিনুল হক, সাবেক প্রচার সম্পাদক মো: নজীর উদ্দিন আহমেদ, সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক এমদাদুল হাসান, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. আব্দুল করিম, সাবেক সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আবু শামীম মো: আরিফ, সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক বাহার চৌধুরী, সাবেক ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আজিজ, সাবেক আপ্যায়ন সম্পাদক আতাউর রহমান মোল্লা টিপু, সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মাইনুল হোসেন চপল, সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এড: শামুসজ্জামান চৌধুরী কানন, সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা শামীমা বসির স্মৃতি, সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এড. ইসহাক প্রমুখ।