Main Menu

পৌর নির্বাচন ২০১৬:: আওয়ামী লীগ থেকে কে পাবেন দলের গ্রীন সিগন্যাল

+100%-

election 2016দলের গ্রীন সিগন্যাল পেতে ঘুম হারাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর নির্বাচনের আওয়ামীলীগ দলীয় সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীদের। জেলা আওয়ামীলীগ দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আবেদন ফরম বিতরন শুরু করেছে ইতিমধ্যে।  বুধবার এই পৌরসভার নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর পাল্টে যায় চিত্র। সম্ভাব্য প্রার্থীরা মনোনয়ন বাগাতে পেরেশান হয়ে উঠেন। ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছুটাছুটি শুরু হয় তাদের।

আগামী ২০ শে মার্চ ভোট এই পৌরসভার। গত ক’মাস ধরেই সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা ১০ জন। তাদের মধ্যে মনোনয়ন কে পাচ্ছেন তা নিয়েই আলোচনা এখন পৌর এলাকার সর্বত্র । নির্বাচনের তারিখ ঘোষনার পরদিন থেকেই দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আবেদন ফরম বিতরন শুরু করে আওয়ামীলীগ। দলের মনোনয়নের আবেদন ফরম নিয়েছেন  জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বর্তমান মেয়র মো: হেলাল উদ্দিন,সহ-সভাপতি তাজ মো: ইয়াছিন ও নায়ার কবির,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু,সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, শাহ আলম সরকার, সদস্য মাহমুদুল হক ভূইয়া ও যুবলীগ নেতা গোলাম মোস্তফা রাফি।

আওয়ামীলীগের মনোনয়ন কার ? :

আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা অনেক হলেও বেশী আলোচনা ৪ জনকে ঘিরেই । তারা হচ্ছেন বর্তমান মেয়র হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা তাজ মো: ইয়াছিন, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক হুমায়ুন কবির পত্নী নায়ার কবির এবং শেষ মুহূতে মনোনয়ন রেসে যোগ দেয়া দলের যুগ্ম সম্পাদক (১) মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু। তবে মনোনয়ন প্রার্থীর তালিকায় নাম না থাকার পরও আলোচনায় আছেন সাবেক পৌর চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আল মামুন সরকার। আওয়ামীলীগের অধিক প্রার্থীতে মনোনয়নের কোন্দল থামাতে কেন্দ্র থেকে শেষ পর্যন্ত মামুনকে মনোনয়ন দিয়ে দেয়া হতে পারে,এমনটাই ধারনা সবার। দলের একাধিক সুত্র জানিয়েছে-জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ ২/৩ নেতা নায়ার কবিরকে মনোনয়ন দিতে আগ্রহী। কিন্তু নায়ারকে মানতে রাজি নন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্যান্য প্রার্থীরা।  ২০১১ সালে পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন।কিন্তু পরবর্তিতে দলের বৃহত্তর স্বার্থে এবং স্থানীয় সাংসদ এর অনুরোধে উনি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন থেকে বিরত থাকেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাজের সর্বস্তরে নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী। এ ধারণায় উনি আরও বেশী আত্মবিশ্বাসী। সর্বোপরি, ওনার এলাকাবাসী এবং ওনার মুরব্বীগণ ওনাকে সহযোগিতা করায় এবার উনি অনেক বেশী শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দী।  জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক হুমায়ুন কবির অসুস্থ হওয়ার পর নায়ার কবির সরাসরি ভোট রাজনীতিতে চলে আসেন।

nkabirনায়ার কবির অবশ্য বলেছেন-তিনি দলের স্বার্থে গত পৌর নির্বাচনে ছাড় দিয়েছেন। সংসদ সদস্য,বর্তমান মেয়র তার কাছ থেকে সুযোগ চেয়ে নেন ঐবার। সেজন্যে এবার তারই অগ্রাধিকার।

শেষ পর্যন্ত বর্তমান মেয়র হেলাল উদ্দিন দলের মনোনয়ন পেতে পারেন এমন আলোচনাও আছে। হেলাল উদ্দিনও সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বদলে দিচ্ছেন রাস্তাঘাটের চেহারা। মেরামত কাজ হচ্ছে দ্রুত। ভোটের লড়াইয়ে নেমে পৌর নাগরিকদের কোন প্রশ্নের মধ্যে থাকতে চাননা তিনি। হেলাল উদ্দিন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন বর্তমান মেয়রদের কেউই মনোনয়ন বঞ্চিত হননি। রানিং মেয়র কোথাও বাদ যায়নি। তাছাড়া যারা মনোনয়ন চাচ্ছেন তাদের মধ্যে সবার চেয়ে ভালো অবস্থা আমার। গত দুই মেয়াদে ১০ বছর আমি মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছি। এসময় পৌরসভার উন্নয়নে অনেক কাজ করেছি । এ মেয়াদে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করেছি। ওভারহেড পানির টাঙ্কি করেছি। আরো অনেক helalmayorরাস্তাঘাট করেছি। সবমিলিয়ে ৯০ কোটি টাকার কাজ করেছি। তাই পৌর নাগরিকরা এবারো আমাকেই চাইছেন। আমার কাজ,সংগঠনে অবস্থান বিবেচনায় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। তাছাড়া দলের নেতাকর্মীদের বেশীরভাগের সমর্থন আমার প্রতি রয়েছে।
উপজেলা নির্বাচনের পর এবার পৌরসভার মেয়র পদে লড়তে চান তাজ মো: ইয়াছিন। তিনি বলেন আমি সবার চেয়ে বয়সে বড়। রাজনৈতিক জীবনে আমি আওয়ামীলীগ ত্যাগ করিনি। ছাত্রলীগ,যুবলীগ,এরপর আওয়ামীলীগে এসেছি। ৭৫’র পর ৩ বার জেল খেটেছি। এ কারনে ডিগ্রী পরীক্ষা পর্যন্ত দিতে পারিনি। পরপর দু-বার যুবলীগের সভাপতি ছিলাম। আওয়ামীলীগের যুগ্ম yasinসাধারন সম্পাদক হয়েছি ২ বার। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ছিলাম দু-বার। আমি দলের বাইরে যাইনি। অনেকে দলত্যাগ করে আবার ফিরে এসেছে। আমি আশা করি দল এবার এর মুল্যায়ন করবে। তাছাড়া পাবলিক আমার পক্ষে। দলে বিদলে সিরিয়াস। প্রতিদিন কমপক্ষে একশো লোক ফোন করে নির্বাচন করতে হবে বলে দাবি জানায়।

mantuজেলা আওযামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু বলেন- আমরা দলের পুরনো কর্মী। দলের জন্যে আমাদের ত্যাগ-তিতিক্ষা সবারই জানা। সংগঠনের জন্যে অবদান বিবেচনা করে দলের মনোনয়ন আমাকে দেয়া হবে বলে আমি আশা করি।

জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন বলেছেন- সংসদ সদস্য বলেছেন জনগনের সমর্থন যার দিকে তাকেই মনোনয়ন দেয়া হবে। আমি মনে করি জনগনের সমর্থন khokanআমার দিকেই আছে। সাধারন মানুষের প্রত্যাশা পূরনে সংসদ সদস্য আমাকেই মনোনয়ন দেবেন। পৌর নাগরিকরাও বলছে আপনার মতো একজন যোগ্য লোকেরই পৌরসভায় দরকার।
তবে মনোনয়ন নিয়ে কোন চিন্তা ভাবনার মধ্যে না থাকলেও জেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক আল মামুন সরকার আছেন মনোনয়নের আলোচনায়। মেঘ না চাইতে জল- এমনি অবস্থা তাকে নিয়ে। মনোনয়ন কোন্দলে ইতি টানতে কেন্দ্র তাকে বাছাই করতে পারে এমন আলোচনা সবার মধ্যে।
তবে তিনি বলেছেন পৌর নির্বাচনে তার প্রার্থী হওয়ার কোন ইচ্ছে নেই। আল মামুন সরকার ১৯৯৩ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত পৌরসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।ওয়েব থেকে নেয়া






Shares