Main Menu

পাওয়ার কারে উঠতে না দেওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেল কর্মচারীকে বেদম পেটাল বখাটেরা

+100%-

ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের পাওয়ার কারে ঢুকতে না দেওয়ায় ট্রেনটির বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মচারীকে বেদম পিঠিয়েছে কিছু বখাটে। আহত ইলেকট্রিক ফিটার মো. আবদুর রহিম ওই ট্রেনের পাওয়ার কার পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকার পাঘাচং স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও রানিং স্টাফদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে রেলওয়ে বিদ্যুৎ শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। অন্যদিকে দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের কথা জানিয়েছেন পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) সুবক্তগীন।

জানা গেছে, কর্ণফুলী ট্রেনটি শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশে ঢাকা কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে আসে। দুপুর আড়াইটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকার পাঘাচং স্টেশনে পৌঁছে। এ সময় টিকিটহীন কিছু বখাটে ট্রেনের পাওয়ার কারে ওঠার চেষ্টা করে। দায়িত্ব পালনরত পরিচালক আবদুর রহিম এতে বাধা দেন। তখন বখাটেরা পাওয়ার কারের জানালা দিয়ে প্রবেশ করে তাকে বেদম পেঠায়। এ সময় তারা পাওয়ার কার পরিচালকের ইউনিফর্মও ছিঁড়ে ফেলে। তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন এবং নগদ প্রায় ৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সূত্র জানায়, গত শুক্রবার রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জিএম একটি জরুরি কন্ট্রোল আদেশ জারি করেন। এতে বলা হয়েছে যাত্রীবাহী ট্রেনের পাওয়ার কারসমূহে অবৈধ কোনো যাত্রী ভ্রমণ করতে দেখা গেলে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় বিদ্যুৎ প্রকৌশলী ও পাওয়ার কার পরিচালকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাওয়ার কারে যাতে কোনো যাত্রী ভ্রমণ করতে না পারে, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতেও বলা হয়। ওই আদেশ পরিপালন করতে গিয়েই মারধরের শিকার হলেন রেলের কর্মচারী।

রেলের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কর্মচারীরা কোনো অপরাধ করলে তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের শ্রমিক-কর্মচারী যখন মারধরের শিকার হন, তখন কোনো বিচার পাওয়া যায় না। আমাদের কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

রেলওয়ে বিদ্যুৎ শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা মো. জাকির আহমেদ বলেন, অনেকবার বখাটেদের মারধরের শিকার হয়েছেন আমাদের সহকর্মীরা। কোনো বিচার পাইনি। আমরা দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

পূর্বাঞ্চলের জিএম সুবক্তগীন বলেন, প্রধান বৈদ্যুতিক প্রকৌশলীকে এ বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।






0
0Shares