নতুন ২ দাবিসহ ৫ দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সকল আদালত বর্জন



দাবি পূরণ না হওয়ায় আবারও সকল আদালত বর্জন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীরা। মঙ্গলবার বিকেলে নতুন কমিটির কাছে দ্বায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠান ও বিশেষ সাধারন সভা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর ফলে আগামীকাল বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আদালতে উপস্থিত হয়ে কোন আইনী সেবা দেবেন না আইনজীবীরা।
দুই বিচারক ও নাজিরের অপসারনের ৩ দফা দাবির সাথে নতুন ২টি দাবি যুক্ত করেছেন আইনজীবীরা। হাইকোর্টে তাদের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ থেকে অব্যাহতি এবং শহরের কোর্টরোড এলাকায় থাকা আদালতের সম্পত্তির অবৈধ ব্যবহার বন্ধ করার দাবি তাদের।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, দাবি পূরণ না হওয়ায় আবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। সভায় উপস্থিত থাকা সব আইনজীবীর মতামতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ এবং আদালতের নাজির মুমিনুলের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গত ৫ জানুয়ারি থেকে আদালত বর্জন করে আসছিলেন জেলা বারের আইনজীবীরা।
একপর্যায়ে জেলা ও দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর আদালত বর্জন অব্যাহত রেখে বাকি সব আদালতের কার্যক্রমে অংশ নেওয়া শুরু করেন আইনজীবীরা। ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাবি পূরণ না হলে বিশেষ সাধারণ সভা করে সব আদালত বর্জনের মতো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হতে পারে বলে আইনজীবীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।