Main Menu

ছাত্রলীগ কর্মী এজাজকে প্রকাশ্যে গুলি: হত্যায় জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর গত বুধবার চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের আনন্দ মিছিলে গুলিতে নিহত হন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী আয়েশ রহমান এজাজ।

হত্যায় জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন সহপাঠীরা। আজ শুক্রবার দুপুরে শহরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধনের আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এসে মিছিলটি জড়ো হয়।

এতে বক্তব্য দেন জেলা ছাত্রলীগর সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল হাসান মিঠু, নিহতের সহপাঠী বায়েজিদুর রহমান সিয়াম, মাহতি মোহাম্মদ মাশরাফি, সাকিব খান রিফাত ও আরাফ উল্লাহ অর্ণব।

পরে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও মূল আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। ঘাতক হাসান আল ফারাবী জয় ও জালাল হোসেন খোকাসহ সব আসামিকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তাঁদের ফাঁসি দিতে হবে। অন্যথায় ভবিষ্যতে ধর্মঘট ও বিক্ষোভ মিছিলসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নিহত আশরাফুলের বাবা বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জালাল হোসেন ওরফে খোকা। আসামির তালিকায় ২ নম্বরে রয়েছেন বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা হাসান আল ফারাবী ওরফে জয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামি হাসান আল ফারাবীও নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাৎ হোসেনের (আনারস প্রতীক) পক্ষে কাজ করেছেন।

এজাহারভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন শহরের কলেজপাড়ার বাসিন্দা জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শাফি আলম (২৮) ও তাঁর বড় ভাই সাগর (৩২), কাউতলীর শাহাদাৎ হোসেন ওরফে সানি (২৮), কলেজপাড়ার অপু (৩০), তাঁর বড় ভাই মামুন (৩৮) ও মাসুম (৪০) এবং মামুনের ছেলে শাহরিয়ার ওরফে লাদেন (২২), রুবেল (২৮), অলি (৩০), রুমান (৩৫), তারেফ (৩০), সৌরভ (৩০), মামুন (২৮) ও মুরসালিন (২৮)। জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতির পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার হওয়া হাসানসহ অন্য আসামিরা জালাল হোসেনের অনুসারী। কলেজপাড়ার বাসিন্দা জালাল হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।