Main Menu

এডভোকেট লুৎফুল হাই সাচ্চুর মৃত্যুবার্ষিকীতে নিরবতা দলের

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি এডভোকেট লুৎফুল হাই সাচ্চুর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হলো নিরবেই। দলীয় ভাবে নেয়া হয়নি কোন কর্মসূচী।
পারিবারিক সুত্র জানায়-৪০ বছরের বেশী সময় ধরে তিনি জেলা আওয়ামীলীগের কান্ডারী ছিলেন । ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, ৩ নং সেক্টরের গেরিলা উপদেষ্টা। চট্টগ্রাম বিভাগে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ২০০৮ সালে। এর ২ বছর পর ২০১০ সালের ২২ শে নভেম্বর মারা যান

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সর্বস্থরের মানুষের প্রিয় নেতা এডভোকেট লুৎফুল হাই সাচ্চু। এর আগে গনপরিষদ সদস্য ছিলেন। তার ১২ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে ২২ নভেম্বর মঙ্গলবার। দলের এই বর্ষীয়ান নেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে বরাবরের মতোই নিরব থেকেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগ। দলীয় ভাবে কোন কর্মসূচী নেয়া হয়নি। তবে শহরতলীর সোহাতায় তার নিজের গ্রামের তরুন-যুবকদের উদ্যাগে নানা কর্মসূচীতে স্মরন করা হয় তাকে। দোয়া,মিলাদ মাহফিল,কবর জিয়ারত এবং ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান,ফজলে রাব্বী,সোহাগ মিয়া,পাপ্পু,হেলাল,সুহাস প্রমুখ। এছাড়া স্থানীয় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রয়াত নেতার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। দিনভর ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পে ১৫০ জনেরো বেশী মানুষকে চিকিৎসা দেয়া হয়।

প্রয়াত নেতাদের স্মরন না করার মানসিকতা জেলা আওয়ামীলীগের নতুন নয় বলেই অভিযোগ রয়েছে। জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ সিরাজুল ইসলামের সর্বশেষ মৃত্যুবার্ষিকীতে দলের নিরবতা চোখে পড়ে। বাকী প্রয়াত নেতাদের ক্ষেত্রে একই মনোভাব জেলা আওয়ামীলীগের।

লুৎফুল হাই সাচ্চুর ছোট ভাই আল মামুন মনোয়ারুল হাই বলেন-এটা দু:খ জনক। তিনি জানান,তার ভাই ১৯৭২ সাল থেকে প্রথমে মহকুমা এবং পরে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে একটানা ২০০৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এরপর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
পারিবারিক উদ্যােগে সাচ্চুর মৃত্যুবার্ষিকী পালনে সপ্তাহখানেক পর বড় পরিসরে আয়োজন করা হবে বলে জানান মামুন।






Shares