উত্তর সুহিলপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের দাবি উত্তর সুহিলপুর ছাত্র কল্যাণ সংসদের
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের সবচেয়ে নিকটবর্তী ইউনিয়ন হল সুহিলপুর।এই ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় গ্রামের নাম উত্তর সুহিলপুর যার জনসংখ্য প্রায় আট হাজার। উত্তর সুহিলপুর গ্রামটি সুহিলপুর ইউনিয়নের সবচেয়ে অবহেলিত গ্রাম। এ গ্রামের অধিকাংশ মানুষই দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করছে। যার ফলে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও নিজেদের ছেলে মেয়েদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে পারে নি। এত বড় গ্রাম অথচ তারাই সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত। সুহিলপুরের অন্যান্য গ্রামের তুলনায় সব দিক থেকে উত্তর সুহিলপুর পিছিয়ে। এই গ্রামের ছেলে মেয়েদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে এলাকার শিক্ষিত তরুণরা মিলে ২০০৯ সালে গঠন করে উত্তর সুহিলপুর ছাত্র কল্যাণ সংসদ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ করার নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি। প্রাথমিকভাবে বয়স্ক শিক্ষা ও শিশু শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে। পরে পিস এফ লিভিং এর আর্থিক সহায়তায় তারা একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয় যার নামকরণ করা হয় পিস অফ লিভিং স্কুল। বর্তমানে স্কুলটিতে তিনটি শ্রেণীতে ১১০ জন শিক্ষার্থী সম্পূর্ণ বিনা খরচে অধ্যয়ন করছে। কিন্তু এতবড় গ্রামে কি এই রকম একটি স্কুল দিয়ে শিক্ষার আলো প্রসারিত করা সম্ভব। তাই তারা উত্তর সুহিলপুরে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের দাবী জানিয়েছে। গ্রামের দরিদ্র ছেলেমেয়েদের শিক্ষা অর্জন করতে হলে পার্শ্ববর্তী সুহিলপুর মধ্য সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুহিলপুর উত্তর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় (ছাতিয়ান স্কুল) কিংবা নন্দনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেতে হয়। এতে করে সামান্য পরিমাণ ছেলে মেয়ে হয়তো পড়াশুনার সুযোগ পায়। আর বিশাল অংশ আজো শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত।
বর্তমান সরকার যেখানে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে সেখানে উত্তর সুহিলপুরের বেশির ভাগ ছেলে মেয়ে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত। অথচ গ্রামে একটা প্রাথমিক বিদ্যালয় হলে ছেলে মেয়েরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হত না। এই ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান জনাব আজাদ হাজারী আঙ্গুরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এলাকাবাসী জমির ব্যবস্থা করলে তিনি স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগী হবেন। তবে সরকারী উদ্যোগে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হলে এলাকার কোন ছেলে মেয়ে আর শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে না বলে অভিমত দিয়েছে উত্তর সুহিলপুর ছাত্র কল্যাণ সংসদ। উত্তর সুহিলপুর ছাত্র কল্যাণ সংসদের সভাপতি মোঃ বায়েজিদ মোস্তফা বলেন, ” বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার।বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে অক্লান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় নতুন করে অনেক স্কুল কলেজ সরকারীকরণ করা হয়েছে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।আমাদের গ্রামের একটি বিশাল জনগোষ্ঠী কে বাইরে রেখে উন্নয়ন ত্বরণিত সম্ভব নয়। আর আমাদের মত ছাত্রদের পক্ষে পুরো এলাকায় শিক্ষা বিস্তার করা সম্ভব না। তাই আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কাছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি।”