আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন ব্রাক্ষণবাড়ীয়ায় তিন দিনের ইজতেমা
মোঃআমিনুল ইসলাম//ব্রাক্ষণবাড়ীয়া বিশ্ব ইজতেমার একাংশ বৃহস্পতিবার থেকে শালগাঁও কালিসীমা চৌদ্দ মৌজার মাঠে শুরু হওয়া ৩দিন ব্যাপী আয়োজিত ইজতেমা শনিবার আখেরি মুনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। ভোর থেকে ঈমান আর আমলের সমাপনী বয়ান শুরু করেন ঢাকা কাকরাইলসহ দেশের প্রতিথযশা আলেমরা।
পুর্ব ঘোষণা ছাড়াই দুপুর-১২,১৫ শুরু হয়ে-১২,২৭ মিনিট অর্থাৎ ১২ মিনিটের আখেরি মোনাজাত করেন- কাকরাইল মসজিদের অন্যতম প্রধান মুরুব্বি মাওলানা যোবায়ের আহমেদ,ঈমান আমলের উন্নতি, দেশের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে অনুষ্ঠিত সমাপনি মুনাজাতে অংশ নিতে তিতাস নদীর তীরসহ আশেপাশে লাখো মুসল্লি ইজতেমা মোনাজাতে অংশ নেয়।
মুনাজাত শেষে মুসাফা কোলাকুলি করে কেউ বের হয়ে পড়েন ৪০ দিন কিংবা চার মাসের (চিল্লা) দ্বীনের পথে দাওয়াত দেয়ার উদ্দেশ্য।
ঢাকার টংগী এলাকার বিশ্ব ইজতেমার আদলে বৃহস্পতিবার বাদ জোহর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ব্রাক্ষণবাড়ীয়ার ইজতেমার কার্যক্রম। এক সঙ্গে জামাতে নামাজ আদায়, নামাজ শেষে ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে ঈমান ও আমলের আলোচনা, দ্বীনের দাওয়াত ও ধর্মীয় বয়ানের মধ্যদিয়ে চলে দিন রাতের কর্মসূচি।
ইজতেমা উপলক্ষে মাঠসহ আশেপাশে জিরো মাইল এলাকায় তৈরি করা হয়েছে বিশাল প্যান্ডেল।১২ শত টংলেট,পানির জন্য ৬টি গভীর নলকূপে মটর বসানোর পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি দিয়ে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।জেলার পুলিশ সুপার মোঃমিজানুর রহমান পিপিএম বলেন-ইজতেমা মোনাজাত নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা গ্রহন করা হয়েছে।ইজতেমা মাঠে ৫০ টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন।এছাড়াও ইজতেমা মাঠ এর আশেপাশে পুলিশ,র্যাব,বিজিবি,এপিবিএন,নৌ-পুলিশ দায়িত্ব পালন করেন।