সুইৎজারল্যান্ডে ‘অ্যাসিস্টেড সুইসাইড’ করলেন ১০৪ বছরের অস্ট্রেলীয় বিজ্ঞানী



অ্যাসিস্টেড সুইসাইড’ বা বলা ভাল চিকিৎসকদের সহায়তায় আত্মহত্যার মাধ্যমে সুইৎজারল্যান্ডে নিজের জীবন শেষ করলেন ১০৪ বছরের অস্ট্রেলীয় বিজ্ঞানী।
সুইস ফাউন্ডেশনের তরফে জানানো হয়েছে, নিজের দেশে ‘সহায়তার মাধ্যমে আত্মহত্যা’-য় সরকারের সহযোগিতা পাননি ডেভিড গুডাল। যে কারণে, তিনি সুইৎজারল্যান্ডে চলে আসেন। এদিন বাসেলে সম্পন্ন হয় সেই প্রক্রিয়া।
জানা গিয়েছে, কোনও বড় ব্যাধি বা রোগে ভুগছিলেন না গুডাল। কিন্তু, বার্ধক্যজনিত সমস্যায় বিগত কয়েক বছরে তাঁর স্বাস্থ্য অনেকটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সেই কারণে, তিনি স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করেন।
এদিন বাসেলের একটি ক্লিনিকে ভারতীয় সময় বিকেল চারটে নাগাদ প্রাণঘাতী নেম্বুটাল ইঞ্জেকশন দিয়ে তাঁকে চিরনিদ্রায় পাঠানো হয়। এক্ষেত্রে, হাতে স্যালাইনের যে ভালভ থাকে, তা নিজের হাতে খুলে দিয়ে সহায়তা করেন গুডাল। তাতেই ইঞ্জেকশন দিয়ে সহায়তা করেন চিকিৎসকরা।
গত বুধবার, শেষ সাক্ষাতকারে গুডাল জানিয়েছিলেন, তাঁর ঘটনার পর তিনি আশা করছেন, অস্ট্রেলিয়া স্বেচ্ছামৃত্যু বা সহায়ক আত্মহত্যার আইন নিয়ে ভাবনাচিন্তা করবে।
প্রসঙ্গত, সহায়তার মাধ্যমে আত্মহত্যা অধিকাংশ দেশেই অবৈধ। অস্ট্রেলিয়ায় তা নিষিদ্ধ। মাত্র গতবছর ভিক্টোরিয়া প্রদেশ এই পদ্ধতিকে আইনি স্বীকৃতি দিয়েছে।