সাকিব না থাকার আক্ষেপে পুড়ছে কলকাতার গণমাধ্যম



টানা সাত বছর আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ডেরায় থেকে কলকাতার ঘরের ছেলে হয়ে উঠেছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু এবার তাকে ছেড়ে দেয় কেকেআর। নতুন দল সানরাইজার্স হায়দরবাদের হয়ে সেই কলকাতায় ফিরে স্থানীয়দের আক্ষেপ বাড়িয়েছেন তিনি। প্রথম দেখাতে ব্যাটে-বলে ‘দুর্দান্ত’ সাকিবের কাছেই যে হেরেছে কেকেআর। স্থানীয় গণমাধ্যমেও ঝরছে সাকিব না থাকার আক্ষেপ।
নামে কলকাতা নাইট রাইডার্স হলেও কলকাতার দলে বাঙালি নেই একজনও। গত কয়েক মৌসুম দলটির একমাত্র বাঙালি ক্রিকেটার হয়েই খেলেছিলেন সাকিব। তা নিয়ে আহ্লাদের কমতি ছিল না সেখানকার গণমাধ্যমের। এবার বাঙালিবিহীন কলকাতার দলকে হারালেন আরেক বাঙালি।
শনিবার ছিন বাংলা নববর্ষে। দেশে না থাকা সাকিবের বাঙালিয়ানার স্বাদ পেতে এমন দিনে কলকাতাই হতো সেরা বিকল্প। নববর্ষের রাতে কলকাতাতেই ছিলেন সাকিব, তবে সেটা প্রতিপক্ষ হয়ে। দারুণ খেলে দিয়েছেন ‘কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা।’ কলকাতার শীর্ষ স্থানীয় গণমাধ্যম এই সময় ম্যাচ রিপোর্টের ঝাঁজালো শিরোনামে লিখেছে, ‘বাতিল বাঙালির নববর্ষের প্রতিশোধ’। প্রতিবেদনে সাকিবকে ছেড়ে দেওয়ার মৃদু সমালোচনাও করা হয়েছে।
আনন্দবাজার তাদের বিশ্লেষণী প্রতিবেদনের শিরোনাম করেছে- ‘কেকেআরের কাঁটা প্রাক্তন তিন নাইট’। ওই প্রতিবেদনে সাকিবের ছক্কার বর্ণনায় নাইট রাইডার্স কর্মকর্তাদের সমলাচোনা করে লেখা হয়, ‘শটটা যেন চাবুকের মতো সেই সব কেকেআর কর্তার উপর আছড়ে পড়ল, যাঁরা তাঁকে ঢাকার প্রতিবেশী শহর থেকে চলে যেতে দিয়েছেন হায়দরাবাদে।’
বৃষ্টিভেজা রাতে আগে ব্যাট করে সাকিব, ভুবনেশ্বর, স্টেইনলেকের বোলিং তোপে ১৩৮ রানের বেশি করতে পারেনি কেকেআর। ৪ ওভার বল করে মাত্র ২১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন সাকিব। নিজের বলে দারুণ এক ক্যাচসহ হাতে জমিয়েছেন দুই ক্যাচ। পরে কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে ম্যাচ জয়ী জুটিতে ২০ বলে ২৭ রানের ইনিংসও খেলেন বাংলাদেশ তারকা। তবে এত কিছুর পরও মন ভরেনি নির্ধারকদের। সাকিবের বদলে বিস্ময়করভাবে ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরষ্কার পান বিলি স্টেনলেক।