১০ রাকাত তারাবি মক্কা-মদিনার প্রধান দুই মসজিদে
সৌদি আরবের প্রধান দুই মসজিদ তথা হারামাইন শরীফাইন আসন্ন রমজানে নামাজ আদায় ও উমরাপালনকারীদের খোলা থাকবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবারও তারাবির নামাজ পড়া হবে ১০ রাকাত। এমন আরও কিছু নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে হারামাইন কর্তৃপক্ষ। আসন্ন রমজানের কর্মসূচি ও পরিকল্পনায় তারাবি, তাহাজ্জুদ, উমরা, ইফতার এবং ইতিকাফ বিষয়ে বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
রোববার (২৮ মার্চ) হারামাইন প্রেসিডেন্ট ও মসজিদে হারামের প্রধান খতিব শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইস আসন্ন রমজান মাসের পরিকল্পনা প্রকাশ করেন।
মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববীতে আগত নামাজীদের ভ্যাকসিন গ্রহণ, মাস্ক পরিধান, স্যানিটাইজিং ও সামাজিক দূরত্বের গুরুত্বের বিষয়ে জোর দেওয়াসহ নতুন পরিকল্পনায় এ বছরও ইতিকাফ স্থগিত থাকার কথা জানানো হয়।
আসন্ন রমজানে মসজিদে হারাম ও নববীতে তারাবির নামাজ হবে দশ রাকাত। রমজানের শেষ দশদিন তাহাজ্জুদের জামাতও হবে দশ রাকাত। বিতরের নামাজ অবশ্য তিন রাকাতই পড়া হবে।
মসজিদে হারামের বাদশাহ আবদুল্লাহ কর্তৃক সম্প্রসারিত অংশ, প্রথম তলা, ছাদ ও বাইরের প্রাঙ্গণে নামাজ পড়ার অনুমতি দেওয়া হবে। তবে মাতাফ নামাজিদের জন্য বন্ধ থাকবে। মাতাফে শুধু উমরা করা যাবে। আর উমরা পালনের পর দুই রাকাত নামাজ প্রথম তলায় আদায় করতে হবে। কোনো উমরা পালনকারী কাবা স্পর্শ করতে পারবেন না। হাজরে আসওয়াদেও চুমো দেওয়া যাবে না।
ইফতার বিতরণ স্থগিত থাকবে, তবে ইফতারের জন্য খেজুর, পানি ও কফি ব্যক্তিগতভাবে ইফতার বহন করতে পারবে। কিন্তু কোনোভাবেই তা ভাগাভাগি করা যাবে না। ব্যাপকভাবে জমজমের পানি সরবরাহ বন্ধ থাকবে। তবে নির্দিষ্ট কর্মী ও বোতলের মাধ্যমে স্বতন্ত্রভাবে জমজম সরবরাহ করা হবে। প্রতিদিন দুই লাখ বোতল পানি বিতরণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। মসজিদে হারামে প্রবেশের অনুমতি ইতামারনা অ্যাপসের মাধ্যমে নিবন্ধন করে গ্রহণ করতে হবে।
মসজিদে হারামের লাইব্রেরী এবং পবিত্র কোরআনের প্রদর্শনী, হারামাইনের সাইট প্রদর্শনী এবং বাদশা আবদুল আজিজ কমপ্লেক্সে কাবার গিলাফের প্রদর্শনী উন্মুক্ত করা হবে সকাল ৬টায়। এখানে দর্শনার্থীরা প্রবেশের সুযোগ পাবে বেলা বারোটা পর্যন্ত।
আসন্ন রমজানে মসজিদে হারামে তারাবি ও তাহাজ্জুদের নামাজে কোনো অতিথি ইমাম নিয়োগ দেওয়া হবে না। এবার শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইস, শায়খ সাউদ আল শুরাইম, শায়খ আবদুল্লাহ আওয়াদ আল জুহানি, শায়খ মাহের আল মুয়াইকলি, শায়খ বানদার বালিলাহ ও শায়খ ইয়াসির আল দোসারি ইমামতি করবেন। তবে কে কবে ইমামতি করবেনে, সেটা এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
উল্লেখ্য, বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে গত বছর মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববীতে সীমিত মুসল্লিদের অংশগ্রহণে তারাবির নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।