Main Menu

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপি’র ১৩৬ সদস্যের কমিটি গঠন নিয়ে ধূম্যজাল!

+100%-

বিএনপি’র অভ্যন্তরীন কোন্দল এবার আরো জুরালো হওয়ার আশংকা করছেন ডা.খোকন গ্রুপের নেতা-কর্মী।

আদিত্য ফয়সল,প্রতিনিধি : গতকাল বৃহস্প্রতিবার দীর্ঘ ৪ বছর পর বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপি’র ১৩৬ (নতুন কমিটির সভাপতির দাবী কমিটির সদস্যদেও সংখ্যা ১৬০) সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে বলের জানা গেছে। জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী এড. ঘারুনুর রশীদ ও সা.সম্পাদক জহিরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত একটি কম্পিউটারে কম্পোজ করা প্রেসরিলিজ বাঞ্ছারামপুর উপজেলার স্থানীয় সংবাদকর্মীদের তা মেইলে পাঠানো হয়।এতে ১০১ সদস্য উপজেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটির নাম ঘোষনা করেন।নতুন কমিটিতে  সাবেক এমপি এম.এ খালেক ও ভিপি মান্নানকে সা.সম্পাদক এবং এ.কে.এম মুছাকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়।

এর আগে সন্ধ্যাতেই নতুন কমিটি গঠন ও বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য জেলা বিএনপির সভাপতি-সা.সম্পাদকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কারো সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।মোবাইল বন্ধ।অন্যদিকে বিগত ৪ বছর ধরে উপজেলা বিএনপি হাল ধরে রেখেছিলেন যারা,তাদের দাবী কোন কমিটি হয়েছে কি-না আমাদেও জানানো হয়নি।এমনকি অনুমোদনকারী নেতারা আহবায়ককেও বিষয়টি কোন মাধ্যমেই অবহিত না করায় এখনো ডা.খোকন-ই উপজেলা বিএনপির আহবায়ক।

এদিকে, উপজেলা বিএনপির আহ্ববায়ক ডা.খোকন রাত ৮টায় স্পষ্ট করে জানান,-‘জেলা বিএনপি সভাপতি-সা.সম্পাদক ইেিচ্ছ করলে সাংগঠনিক ক্ষমতাবলে কমিটি অনুমোদন  দিতে পারেন।কিন্তু,আমি নিজে ৪টি বছর নানা জুলুম-নির্যাতনের স্বীকার হয়েও ‘আহবায়ক হিসেবে দলকে টিকিয়ে’ রেখেছি।যদি  জেলা সভাপতি মহোদয়ের নূণ্যতম সৌজন্যবোধ থাকতো, মিনিমাম একটি ফোন করতে পারতেন। লক্ষ করা গেছে সন্ধ্যার পরই খোকন পন্থীরা অভিযোগ করেন,যদি লুকিয়ে কমিটি করা হয়ে থাকে,তা আমরা মানবো না।কারন, সংস্কারপন্থীদের নিয়ে কমিটি করাটা যথাযথ হয়নি।

অন্যদিকে নতুন কমিটিতে সভাপতি সাবেক এমপি ও পুলিশের সাবেক এআইজি মুঠোফোনে  রাত ৮.১৫মিনিটে  বলেন,-রাত ১০ টার মধ্যে স্থানীয় পত্রিকাগুলোতে জেলা কমিটির সভাপতি-সা.সম্পাদকের হাতে লিখা রেজ্যুলেশন,স্বাক্ষরসহ প্রেসরিলিজ পৌছে যাবে।নবকমিটিতে দূর্ণীতি-মাদক-সন্ত্রাসমুক্ত ও পরীক্ষিত নেতাদেও নিয়ে গঠন করায় এলাকাবাসীর কাছ থেকে অবিরাম শুভেচ্ছা বার্তা পাচ্ছি। বিএনপির সাবেক এমপি ও নতুন কমিটির সভাপতি এম.এ খালেক বললেন-‘ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদেও নিয়ে কমিটি করায় আমর খুশী।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা.খোকনসহ প্রভাবশালী নেতা রফিক শিকদার বললেন-‘সংস্কারপন্থীরা পকেট কমিটি করে থাকতে পারে।’

নতুন কমিটির সা.সম্পাদক ভিপি মান্নান বলেন,-নতুন কমিটিকে স্বাগত জানাচ্ছে ও উপজেলা বিএনপির প্রতিটি সদস্য ও ভোটারগণ খুশী হবেন বলে আমি মনে করছি।’’

অন্যদিকে,দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা বিএনপির অভ্যন্তরীন কোন্দলের সাথে জড়িত অপর গ্রুপের শীর্ষনেতা ও দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পর্ষদের নির্বাহী সদস্য ও এমপি পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী রফিক শিকদার তাকে বিষয়টি জেলা কমিটি অবহিত না করায় তিনি এতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

উপজেলা ছাত্রদল নেতা কবি কালাম বলেন,এটি পকেট কমিটি।গোপনে বিতর্কিত কিছু ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি হয় কিভাবে?
রাত সাড়ে ৮টায় (বর্তমানে উপজেলা বিএনপির অস্থায়ী কায্যালয়) নতুন কমিটির  সাংগঠনিক সম্পাদক এ.কে.এম মুছার কার্য্যালয়ে  গেলে,‘‘অফিস পিয়ন বাদশা জানান কেউ-ই এলাকায় নাই।নেতারা ঢাকায় আছেন’’।
নতুন কমিটি নিয়ে গতকাল বৃহস্প্রতিবার সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হয় নানা জল্পনা-কল্পনা,গুজব ও কমিটি আসলেই গঠন করা হয়েছে কি-না তা নিয়ে সৃষ্টি হয় ব্যপক ধূম্যজাল।একপক্ষের দাবী গঠন করা হয়েছে,আরেকপক্ষের দাবী এটি ভূয়া কমিটি,প্রকৃত কমিটি  হয়নি।

উল্লেখ্য,-  অনেক জল্পনা-কল্পনা,অভ্যন্তরীন কোন্দল,বারংবার দিনক্ষণ ঠিক করেও সভা করে কমিটি করতে ব্যর্থতা ও দীর্ঘ কয়েক বছর প্রতীক্ষার পর বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠিত হয়েছে।বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে,দলের  অভ্যন্তরীন কোন্দলের কারনে ও আসন্ন নির্বাচন ও তত্বাবধায়ক ইস্যূতে আন্দোলনের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটি জেলা কমিটিকে দ্রুত উপজেলা কমিটিগুলোর সম্পন্নের নির্দেশ দেন।এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী এড.হারুনুর রশীদ ও জেলার সা.সম্পাদক জহিরুল হক গতকাল  বৃহস্প্রতিবার দীর্ঘ সময় বৈঠক করে সন্ধ্যায় নবনির্বাচিত কমিটির কয়েকজন নেতাকে ফোনে বিষয়টি জানিয়ে দিয়ে স্ব-স্ব মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন।

 







Shares