শামীম-উন-বাছির : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মধ্যনগর-গোটকান্দি গ্রামের পাশদিয়ে বয়ে যাওয়া তিতাস নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন প্রভাবশালীরা। এ নিয়ে এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার হয়নি। ফলে এলাকাবাসীর মাঝে বিরাজ করছে উত্তেজনা ও ােভ। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার ছয়ফুলাকান্দি ইউনিয়নের মধ্যনগর গ্রামের বড়বাড়ি সংলগ্ন তিতাস নদী থেকে মধ্যনগর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম শিরু, মোঃ জয়নাল আবেদীন, পরশ মিয়া ও কাঞ্চনপুর গ্রামের মোমেন প্রায় এক মাস ধরে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। বালু উত্তোলনের ফলে কৃষি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন জমির মালিকরা। এ বিষয়ে মধ্যনগর গ্রামের মোঃ আব্দুল বাতেন মেম্বার বলেন, সিরাজুল ইসলাম শিরুর নেতৃত্বে ১ মাস ধরে নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও গ্রামবাসী প্রতিকার পায়নি। একই গ্রামের সাবেক মেম্বার মোঃ হামিদ বলেন,- যেভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে এতে দুইপাড়ের জমি ভেঙ্গে নদীতে পড়বে। এনিয়ে গ্রামের মানুষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে বালু উত্তোলনকারী সিরাজুল ইসলাম শিরু বলেন, বালু জমে নদী ভরাট হয়ে গেছে। বালু উত্তোলন করায় নদীতে নৌকা চলাচলে সুবিধা হবে। ভূমি অফিসের লোকজন পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছে অন্যায় ভাবে বালু উত্তোলন করলে আমাকে নিষেধ করতেন। এ ব্যাপারে উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো ম্রাগ্য মারমা বলেন,- মধ্যনগর গ্রামের মানুষের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেেিত গত ১২ ফেব্র“য়ারি পুলিশ নিয়ে গিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছি। তার পরও সিরাজুল ইসলাম শিরু বালু উত্তোলন করছেন। বিষয়টি আমি ইউএনও স্যারকে জানিয়েছি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.টি.এম কাউছার হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়ে কানুনগোকে দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু আবার বালু উত্তোলন করা হচ্ছে বলে শুনেছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে জানাবো। |