Main Menu

যুবকের থাপ্পড় স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

+100%-

প্রতিবেদক :: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার গজারিয়া গ্রামে গত মঙ্গলবার লাকি আক্তার নামের এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। তার পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় এক যুবক আগের দিন তাকে উত্ত্যক্ত করে এবং কয়েকটি চড়-থাপ্পড় মারে। এই অপমান সইতে না পেরে লাকি আত্মহত্যা করেছে।

উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের আবদুল জলিলের মেয়ে লাকি আক্তার। সে খাড়েরা মোহামঞ্চদীয়া উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে লাকির লাশ গতকাল বুধবার বিকেলে দাফন করা হয়েছে।

লাকির পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গজারিয়া গ্রামের আবু সায়েদ (২৫) মাঝেমধ্যে লাকিকে উত্ত্যক্ত করতেন। গত সোমবার দুপুরে লাকি তার এক বান্ধবীকে নিয়ে বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরছিল। পথে আবু সায়েদের সঙ্গে তাদের দেখা হয়। এ সময় লাকি মাটিতে থুতু ফেললে আবু সায়েদ মনে করেন, তাঁকে উদ্দেশ্য করে থুতু ফেলা হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি লাকিকে কয়েকটি চড়-থাপ্পড় মারেন। এরপর সন্ধ্যায় এ নিয়ে লাকিদের বাড়িতে সালিস বৈঠক বসে। সেখানে আবু সায়েদকে ডেকে এনে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। কিন্তু তিনি ক্ষমা না চেয়ে উল্টো দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান। পরদিন দুপুরে লাকি ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না ঝুলিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।

এলাকাবাসী জানান, লাকির আত্মহত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলেই স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিস বৈঠকে বসেন। সেখানে আবু সায়েদকে দোষী সাব্যস্ত করে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। বৈঠকে খাড়েরা গ্রামের আবু হানিফ, রিমন মিয়া, অহিদ মিয়া, গজারিয়া গ্রামের আবু বক্কর গফুর, গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সালিস বৈঠকের সভাপতি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ওয়াহিদুর রহমান বলেন, মেয়েটিকে তো আর পাওয়া যাবে না। যেহেতু তার পরিবার দরিদ্র, তাই আবু সায়েদকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে এ জরিমানা পরিশোধ করতে হবে।

এসব ব্যাপারে কথা বলতে আবু সায়েদের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর মা শ্যামলা বেগম দাবি করেন, তাঁর ছেলে কোনো দোষ করেননি। তার পরও তাঁর ছেলেকে জরিমানা করা হয়েছে।






Shares