Main Menu

সত্যি অনেক হৃদয়স্পর্শী , একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে→

+100%-

আমার মার একটি চোখ ছিল ।
আমি তাকে দেখতেই পারতাম না । সব
জায়গাতেই তার জন্য আমার লজ্জা পেতে হত
। তার বিদঘুটে চেহারা দেখে সবাই আমাকে উপহাস করত ।
আমি সবসময়ই বলতাম
যে তুমি মরতে পারনা ?? তোমার জন্য আর
কত হাস্যকর পাত্রে পরিণতহব আমি ??
যাই হোক, এক সময় আমি উচ্চশিক্ষার জন্য
বাহিরে পড়তে গেলাম । সেখানে সফল ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আমি বিয়ে করলাম ।
আমি আমার স্ত্রী আর ২ টি মেয়ে নিয়েবেশ
ভালই সুখে ছিলাম ।
একদিন মা আমার সাথে দেখা করার জন্য
আসলেন । এত বছরেরমধ্যে আমার বা আমার
পরিবারের কারো সাথে মার দেখা হয় নাই । মা যখন দরজার সামনে দাঁড়ালেন, তখনআমার
সন্তানেরা মা’কে দেখে হেসে ফেলল ।
আমি লজ্জায় তখন তাকে ধমক
দিয়ে বললাম,”কে আপনি ? এখানে কেন
এসেছেন ? আপনার সাহস কত
যে আপনি আমার সন্তানদের ভয় দেখাচ্ছেন ? “
মা বুঝতে পেরে বলল, ওহ ! দুঃখিত ।
আমি ভুল জায়গায় এসেছি ।
কিছুদিন পর আমি এক নিকট প্রতিবেশীর
কাছে খবর পেলাম যে আমার মা মারা গেছে ।
আমার মাঝে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া হলনা । আমি গেলাম আমাদের সেই পুরনো বাড়িতে ।
একজন
প্রতিবেশী আমাকে একটি চিঠি দিয়ে বলল
যে আমার মা আমার কাছে দিতে বলেছেন ।
আমি চিঠিটি পড়া শুরু করলাম। >>>>>
” আমার প্রানপ্রিয় পুত্র , আমি সবসময় তোমাকে নিয়েই ভাবি ।
আমি অতিশয় লজ্জিত যে আমি তোমার
সন্তানদের ভয়দেখিয়েছিলাম ।
আমি খুবই দুঃখিত যে আমি সবসময়ই
তোমাকে হাসির পাত্রে পরিণত করেছি ।
দেখ, আসলে তুমি ছোটবেলায় খুবই ভয়ংকর এক্সিডেন্ট করেছিলে, যার জন্য তোমার
একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়।
মা হিসেবে আমি তা মানতে পারিনি । তাই
আমি তোমাকে আমার একটি চোখ দিয়ে দিই।
আমি মা হিসেবে খুবই আনন্দিতযে আমার
ছেলে এই দুনিয়াকে প্রানভরে দেখছে । তোমাকে আমি অনেক ভালবাসি ।
তোমার মা ।”
আমার কিছুই বলার নেই। একটা কথাই বলবো,
মা-বাবার প্রতি বিরূপ না হয়ে তাঁদের
প্রতিভালোবাসা দেখান। তাঁদের মনে কষ্ট
দিয়েন না।






Shares