পাল্টা মার শুরু বাংলাদেশে, পুলিশের গুলিতে হত পাঁচ : সংবাদ প্রতিদিন
কলকাতা থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্র সংবাদ প্রতিদিন এ প্রকাশিত সংবাদ
সুকুমার সরকার : ১৬ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কড়া হুঁশিয়ারির জেরে তাণ্ডব চালানো জামত কর্মীদের বিরুদ্ধে আরও কড়া ব্যবস্হা নিতে চলল বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসন৷ সোমবার সকালে পশ্চিমবঙ্গ সংলগ্ণ সাতক্ষীরা জেলায় পুলিশের গুলিতে পাঁচ জামাতকর্মী নিহত হয়৷ জখম হয় আরও জনা ২০ জামাতকর্মী৷ লক্ষ্মীপুরে আওয়ামি লিগের সঙ্গে সঙঘর্ষে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়৷ গত তিন দিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৮৷ এদিন ছিল বাংলাদেশের বিজয় দিবস৷ বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে শহিদদের শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী৷ কাদের মোল্লার মতো যুদ্ধে অপরাধীদের শাস্তি দিতে সরকার পিছ-পা হবে না বলেও জানিয়ে দিলেন শেখ হাসিনা৷
আগামিকাল থেকে পুলিশি অভিযানে সহায়তা করতে সরকারের তরফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যদের প্রস্ত্তত করা হয়েছে৷ পাশাপাশি সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের মাঠে নামতে এবং স্হানীয় জনপ্রতিনিধিদের সক্রিয় থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ গতকাল অস্ত্রসজ্জিত হেলিকপ্টার নিয়ে ঢাকার আকাশে টহল দিয়েছেন রাব সদস্যরা৷ সাতক্ষীরায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১৬ জনকে যৌথ বাহিনী গ্রেফতার করেছে৷ নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন জাহাঙ্গীর হোসেন (২৫)৷ বাকি চারজনের নাম পরিচয় জানা না গেলেও তারা সন্ত্রাসবাদী বলে পুলিশের দাবি৷ যদিও স্হানীয় সূত্রের খবর, নিহতব্যক্তিরা জামাত শিবিরের নেতা-কর্মী৷ গতকাল রাত দু’টোর পর পুলিশ ও যৌথবাহিনীর পৃথক দল সাকতক্ষীরার আগরদাঁড়ি, পদ্মশাঁখরা ও দেবহাটার সখিপুর এলাকায় অভিযান চালায়৷ এই সব জায়গাতেই যৌথবাহিনীর উপর হামলা চালায় জামাত শিবিরের নেতা-কর্মীরা৷ পুলিশের পালটা গুলিতে মোট পাঁচজন নিহত হন৷ সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার চৌধুরি মঞ্জুরুল কবির ‘প্রথম আলো ডটকমে’ জানান, বিভিন্ন্ এলায় যৌথ বাহিনী অভিযানে গেলে সন্ত্রাসবাদীরা তাদের উপর হামলা চালায়৷ পুলিশ-সন্ত্রাসবাদী সঙঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছে৷ অভিযানের সময় দেবহাটা উপজেলা থেকে ছ’জন ও কলারোয়া উপজেলা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী৷ ১৮ দলের ডাকা তিন দফা অবরোধ কর্মসূচিতে গত ২৬ নভেম্বর থেকে সাতক্ষীরা কার্যত এক ‘আতঙ্কের জনপদে’ পরিণত হয়েছে৷