Main Menu

ইলিয়াস আলী না হারিছ চৌধুরী?

+100%-

ঢাকা: সাদা ও কালো রঙের দুটো জিপ। ইমিগ্রেশন ফাঁকি দিয়ে সিলেটের বিয়ানিবাজার উপজেলা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ঢুকেছে বাংলাদেশে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা হন্যে হয়ে খুঁজছেন গাড়ি দুটো। অন্যদিকে এনিয়ে বিভিন্ন মহলে সৃষ্টি হয়েছে কৌতূহল। কারা ছিলেন গাড়ি দুটিতে? কী তাদের পরিচয়? ব্রিটিশ পাসপোর্ট নিয়ে কীভাবে তারা এলেন ভারত থেকে? এরা নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলী কিংবা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী নন তো? এমন অনেক প্রশ্নই ঘুরে ফিরে উঠে আসছে আলোচনায়।

কর্তৃপক্ষকে ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়া গাড়ি দুটো নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও কৌতূহল দেখা দিয়েছে। দলীয় সূত্র জানায়, সিলেট সীমান্ত দিয়ে ঢোকা গাড়িতে কারা ছিল তা নিয়ে বিএনপির ভেতরে-বাইরেও গুঞ্জন শুরু হয়েছে। দলের নেতাদের কেউ কেউ মনে করছেন ইলিয়াস আলী কিংবা হারিছ চৌধুরীও ঢুকতে পারেন গাড়ি দুটো নিয়ে। এব্যাপারে সিলেট বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সিলেট বিএনপিতেও উৎসুক নেতাকর্মী ও সমর্থকরা যার যার ঘনিষ্ঠ সূত্রে খোঁজখবর নিচ্ছেন। তাদের ধারণা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশে ঢুকে আত্মগোপনে আছেন তারা।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, গাড়ি দুটোকে হন্যে হয়ে খুঁজছে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। এভাবে অতর্কিত  সীমান্ত দিয়ে গাড়ি নিয়ে দেশে ঢুকে পড়া নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলেও মনে করছেন তারা। কোনো দাগী সন্ত্রাসী কিংবা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীবাহিনীর কোনো সদস্য এভাবে অনুপ্রবেশ করেছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনার পর সিলেটের বিয়ানিবাজার সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। 

তবে বিএনপির যুগ্মমহাসচিব ও দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত রুহুল কবির রিজভী মনে করেন, গাড়িতে করে সীমান্ত ফাঁকি দিয়ে ইলিয়াস আলী বা হারিছ চৌধুরী ঢুকেছে এসব খবর প্রচার করা সরকারেরই কূটকৌশল। তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। সবকিছুর পেছনেই সরকারের ষড়যন্ত্র রয়েছে। এটিও কোনো না কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ।’        

গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে নিখোঁজ হন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী। তার গাড়ি চালক আনসারকেও ওদিনের পর আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে ইলিয়াস আলীর গাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থা মিলেছিল মহাখালীতে।
এছাড়া এক-এগারোর পট পরিবর্তনের পর বিএনপির রাজনীতি থেকে অনেকটা হারিয়ে যান হারিছ চৌধুরী। এক সময় হাওয়া ভবনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের সময় দেশ থেকে পালিয়ে যান তিনি। প্রথমে সিলেট সংলগ্ন ভারতের করিমগঞ্জ জেলায় অবস্থান করেন। দেশে ফেরার সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন ২০০১ সালের পর বিএনপি রাজনীতিতে রাতারাতি প্রভাবশালী হয়ে ওঠা ওই নেতা। তবে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসলে তার পক্ষে আর দেশে ফেরার সম্ভব হয়নি। ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন পলাতক সন্ত্রাসী আটকের পর্ব সেখানে আর নিজেকে নিরাপদ মনে করেননি হারিছ চৌধুরী। তাই অনেকটা নিরুপায় হয়েই হতাশ হারিছ চৌধুরী মালয়েশিয়ায় চলে যান। সেখানে আগে থেকে পলাতক সাবেক বিতর্কিত কূটনীতিক খায়রুজ্জামান নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। এর পর দীর্ঘদিন কোনো খবরে নেই তিনি।

ওপারে ভারতীয় সীমান্ত চেকপোস্টের বরাত দিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের উপ মহা পরিচালক (অপারেশন ও প্রশিক্ষণ) কর্নেল হাফিজ আহসান ফরিদ জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে সুতারকান্দি চেকপোস্ট দিয়ে ঢোকা দুটি গাড়িতে আসা তিন ব্যক্তি ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী বাংলাদেশি নাগরিক।






Shares