Main Menu

সাকিবের উইকেট ছক্কা

+100%-


২৪ ডেস্ক:সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণি জাদুতে ক্যারিবীয় প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) টানা তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস। মাত্র ৬ রানে ৬ উইকেট তুলে নিয়ে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোকে একাই শেষ করে দেন ওয়ানডের বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। ৭২ বল হাতে রেখেই ৪ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে বার্বাডোজ। ম্যাচে সাকিবের বোলিং ফিগার ৪-১-৬-৬। এছাড়া দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে তালুবন্দি করেন দুটি ক্যাচ। স্বাভাবিকভাবে ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কারের দৌড়ে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীই ছিল না সাকিবের। বলা বাহুল্য, এটি নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ম্যাচসেরার স্বীকৃতি পেলেন এই নাম্বার ওয়ান বাংলাদেশী অলরাউন্ডার।
টি২০ ক্রিকেটে রেকর্ড গড়ে লাল-সবুজের পতাকা ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে ওড়ানোর পাশাপাশি সিপিএলকেও অন্য মাত্রা দিলেন সাকিব। ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ততম ভার্সনের ইতিহাসে এটা দ্বিতীয় সেরা বোলিং পারফরম্যান্স। মাত্র এক রানের জন্য এই রেকর্ডটা নিজের করে নিতে পারলেন না সাকিব। আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া টি২০ মিলিয়ে এ রেকর্ডের মালিক ইংলিশ দল সমারসেটের মালয়েশিয়ান বংশোদ্ভূত ক্রিকেটার এভি সুপ্পিয়াহ। ২০১১ সালের জুলাইয়ে ইংলিশ এ কাউন্টি দলের হয়ে গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে তিনি ৬ উইকেট দখল করেন মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এ অর্জনের মালিক লংকান ক্রিকেটার অজন্তা মেন্ডিস। গত সেপ্টেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার বোলিং ফিগার ছিল ৪-২-৮-৬। আর টি২০’র সব ঘরানার সেরা বোলিংয়ের তালিকায় তার এ রেকর্ড রয়েছে সাকিবের দুই ধাপ (৪) নিচে। তার ঠিক আগেই তিনে রয়েছেন ল্যাসিথ মালিঙ্গা (৭ রানে ৬ উইকেট)।
এদিকে ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে সন্তুষ্ট সাকিবও। গতকাল ইনিংস বিরতিতে বাংলাদেশী এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমার বোলিং নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। প্রথম ম্যাচে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। কারণ আমি মাত্রই ইংলিশ কন্ডিশন (কাউন্টি) থেকে ফিরেছি। তবে এরপর এখানকার ক্রিকেটাররা আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। সেটার প্রভাব দ্বিতীয় ম্যাচেও ছিল। আর আজ জায়গামতো বল ফেলতে পেরেছি।’ প্রথম ম্যাচে তামিমের জুকসের বিপক্ষে বল হাতে মাত্র ২ ওভারে সাকিব ২৯ রান ব্যয় করেও থাকেন উইকেটশূন্য। পরের ম্যাচেই বল হাতে আগুন ঝরানো শুরু। ৪ ওভারে ১৬ রানে শিকার ১ উইকেট। কিপটে বোলিংয়ের জন্য প্রথম ওঠে সিপিএলের ম্যাচসেরার পুরস্কার। আর গতকালের ম্যাচটি সাকিবের মণিকোঠায় চির অম্লানই থাকার কথা। শুরুটা করেন চমত্কার দুটি ক্যাচ ধরে। এরপর ম্যাচের ষষ্ঠ ওভারে সাকিবকে ডেকে পাঠান অধিনায়ক পোলার্ড। সময় নেননি, প্রথম বলেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন টেলরকে। ২৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারানো ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো রেড স্টিলের ব্যাটসম্যানদের জন্য মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে ওঠেন সাকিব। পরের ওভারে ৩ রান দিলেও পাননি কোনো উইকেট। নিজের তৃতীয় ও দলের ১০ম ওভারটি মেইডেনের সঙ্গে দখল করেন তিন উইকেট। ওভার বিশ্লেষণ— উই ০ ০ উই ০ উই। এরপর শেষ ওভারে সাকিবের জোড়া আঘাত প্রথম ও শেষ বলে। সাকিবের ছয় শিকার যথাক্রমে— টেলর, ব্রাভো, পুরান, কুপার, ব্যাডরি এবং ও’ব্রায়েন।
গতকাল ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভালে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সাকিবের বোলিং তোপে ১২ ওভার ৫ বলে ৫২ রানে অলআউট হয়ে যায় ত্রিনিদাদ ও টোবাগো। সর্বোচ্চ ১৩ রান ডেভি জ্যাকবসের। রস টেইলের ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ রান। এছাড়া কেউ দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। জবাবে ৮ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বার্বাডোজ। সর্বোচ্চ ১৪ রান জোনাথন কার্টারের। ১০ রানে অপরাজিত থাকেন অ্যাশলি নার্স। তবে ব্যাট হাতে অবশ্য আবারো ব্যর্থ সাকিব। ৬ বল খেলে ফিদেল এডওয়ার্ডসের বলে ১ রানেই ফেরেন বোল্ড হয়ে। ২২ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ত্রিনিদাদের সেরা বোলার ফিদেল এডওয়ার্ডস।






Shares