আবার আসছে দু’দিনের হরতাল
ডেস্ক টোয়েন্টিফোর : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ব্রাহ্মণবাড়িয়া, যশোর ও সাতক্ষীরা সফর শেষে আগামী ৮ ও ৯ এপ্রিল আবারো ৩৬ ঘণ্টার হরতাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার ৩৬ ঘণ্টা হরতাল শেষে গুলশান কার্যালয়ে দলের সিনিয়র নেতা ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন খালেদা জিয়া। ওই বৈঠকে হরতালের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও মিডিয়ায় জানানো হয়নি। জানা গেছে, হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন কর্মসূচি বিবেচনা করেই ৮ ও ৯ এপ্রিল হরতালের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। আগামী ৬ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ কর্মসূচি রয়েছে। রাসুল (সা.) কে কটূক্তিকারী ব্লগারদের শাস্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে এদিন সারা দেশ থেকে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা ঢাকায় লংমার্চ করবেন। তারা ঘোষণা দিয়েছেন, ওই দিন তাদের বাধা দেওয়া হলে লাগাতার হরতালের ডাক দেবেন। তাদের এ কর্মসূচি বিবেচনায় রেখে বিএনপি তাদের কর্মসূচি নির্ধারণ করেছে। কারণ ৬ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের লংমার্চে বাধা দিলে তারা ৭ এপ্রিল থেকে হরতালের ডাক দিতে পারে। তাদের হরতালের সঙ্গে মিল রেখে ৮ ও ৯ এপ্রিল হরতাল দেবে ১৮ দলীয় জোট। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জোট নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে। তিনি বলেন, আমাদের পেছনে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সরকার যত হার্ডলাইনে যাবে, আমাদের আন্দোলনও তত তীব্র হবে। যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, পুলিশ দিয়ে গুলি চালিয়ে কোনো সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। এই সরকারও পারবে না। গণহামলা, গণমামলা, গণগ্রেফতার করে সরকার গণতন্ত্রের কবর রচনা করতে চায়। তারা এতে সফল হবে না। খালেদা জিয়ার জেলা সফর মার্চ মাসের প্রথমদিকে জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে সারা দেশে পুলিশের গুলিতে শতাধিক মানুষ নিহত হন। যেসব জেলায় পুলিশের গুলিতে মানুষ নিহত হয়েছেন সেসব জেলায় সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এছাড়া সংখ্যালঘুদের ক্ষতিগ্রস্ত মন্দিরও পরিদর্শন করবেন তিনি। ইতোমধ্যেই তিনি মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, বগুড়া ও জয়পুরহাট সফর করেছেন। শনিবার টর্নেডো বিধ্বস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সফরের পর আগামী ৩ ও ৪ এপ্রিল যশোর ও সাতক্ষীরা যাবেন তিনি। এরপর চট্টগ্রাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রংপুর সফরে যাবেন খালেদা জিয়া। ওই দুই জেলা সফরের পর ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক দেবেন। এপ্রিলের শেষ দিকে ঢাকার মহাসমাবেশ থেকেই চূড়ান্ত আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে। এক্ষেত্রে ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচি আসতে পারে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। |