সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপে ইসলাম যে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে তাতে ইউরোপের প্রাচ্যবিদ, নীতিনির্ধারক মহল, দার্শনিক, বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিক-সাহিত্যিকরা রীতিমতো পেরেশান। এ প্রবণতা ও বিপ্লব দেখে তারা হতবাক। নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বহুল প্রচারিত সময়িকী ‘টাইমস’ এ ব্যাপারে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, যার প্রতিটি বাক্যে ইসলামের সত্যতা ও বাস-বতা উন্মোচিত হয়ে যায়। রিপোর্ট অনুযায়ী ইউরোপে নতুন মসজিদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এসব মসজিদ থেকে দৈনিক পাঁচ বার আযানের সুমধুর ধ্বনি ভেসে আসছে। রোমে তিন কোটি ডলার ব্যয়ে সুরম্য একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদের জন্য জমি বরাদ্দ করেছে সে দেশের সরকার। ফ্রান্সে বর্তমানে মসজিদের সংখ্যা প্রায় এক হাজার। অথচ ১৯৭০ সালে সে দেশে মসজিদের সংখ্যা ছিল ডজনখানেক। ‘টাইমস’ এর রিপোর্ট অনুযায়ী ইউরোপে সর্বমোট মুসলমানের সংখ্যা প্রায় ৭০ লাখ। বৃটেনে প্রায় একশ’র মতো পাবলিক স্কুলে বাচ্চাদের সিলেবাসে ইসলামিয়াত অন-র্ভুক্ত করা হয়েছে। পশ্চিম জার্মানিতে পশ্চিমা ধাঁচে পরিচালিত যতগুলো পাবলিক স্কুল আছে তার এক তৃতীয়াংশের মতো মুসলমান শিশুদের জন্য। রিপোর্টে জানা যায়, মাত্র তিন দশক আগেও ইউরোপে মুসলমানরা ছিল অখ্যাত। তাদেরকে দেখা হত সন্দেহের চোখে। কিন্তু মুসলমানরা তাদের অবস্থান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন। এমনকি তারা তাদের ভোটে লর্ড নজীর আহমদকে বৃটেনের পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত করেছেন। |