Main Menu

সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত গাওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা

+100%-

ডেস্ক টোয়েন্টি ফোর : জামায়াতের নেতা কাদের মোল্লাসহ সব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবিতে আগামী  রোববার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সকাল ১০টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত গাওয়া হবে। এ ছাড়া প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে, তবে তা প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে।

একই সঙ্গে দেশের যেখানেই জামায়াত-শিবিরের নাশকতা দেখা যাবে, সেখানেই প্রতিরোধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে জাগরণ সমাবেশ থেকে।

শুক্রবার বিকেলে জাগরণ সমাবেশ ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকার এ কর্মসূচি  ঘোষণা করেন।

ইমরান বলেন, গত মহাসমাবেশে কোটি কণ্ঠে শপথ নিয়ে সবাই আমাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন। প্রদীপ জ্বালিয়ে, নীরবতা পালন করে আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমাদের এই বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিন। একাত্তরের বার্তা সবাইকে জানিয়ে দিন। পিছটান দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।”

ইমরান বলেন, “আমরা চাই রাষ্ট্রপতির ক্ষমার অপব্যবহার করে যুদ্ধাপরাধীদের যেন ক্ষমা করা না হয়। যুদ্ধাপরাধীদের সব অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয়করণ করা হোক। জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি আইন করে বন্ধ করে দিন। এদের রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবেও বয়কট করা হোক।”

পৃথিবীতে গণজাগরণ মঞ্চ ইতিহাস সৃষ্টি করেছে জানিয়ে ইমরান যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ট্রাইব্যুনালের আইনে সংশোধনী আনায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

ইমরান বলেন, “এতে আমাদের আত্মতৃপ্ত হলে চলবে না। আমাদের আন্দোলন শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যেতে হবে। গণজোয়ারের কাছে জামাত-শিবির নিষিদ্ধ করতে রাষ্ট্র বাধ্য হবে। যত দিন পর্যন্ত এ দাবি আদায় না হবে, তত দিন পর্যন্ত এ্ আন্দোলন চলবে। “

জাগরণ সমাবেশ মঞ্চে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর  সভাপতি আব্দুর রউফ, সালমান রহমান,  ছাত্র ঐক্যের আহ্বায়ক সোবাহান, ছাত্রনেতা সা্ফুজ্জামান সাকর, ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কের নেতাসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জাগরণ সমাবেশ সঞ্চালনা করেন টিভিব্যক্তিত্ব অঞ্জয় রায়।

শুক্রবার বেলা তিনটায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিকেল ৪টায় জাগরণ সমাবেশ শুরু হয়। জাগরণ সমাবেশে বিভিন্ন শ্রেণি-পোশার হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়।
শাহবাগ স্কয়ারের পশ্চিম দিকে কাঁটাবন, উত্তর দিকে রূপসী বাংলা, দক্ষিণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও পূর্বে মৎস্য ভবন পর্যন্ত সমাবেশ বিস্তৃত হয়। শাহবাগ স্কয়ারে জামায়াতের নেতা কাদের মোল্লাসহ সব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবিতে ১১ দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি চলছে।






Shares