Main Menu

ভাবীকে ইভটিজিং দেবরের ১৫ দিনের জেল !

+100%-
বড় ভাবীকে ইভটিজিং করার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে  ছোট দেবরের ১৫ দিনের জেল হয়েছে। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে ২৭ এপ্রিল শুক্রবার চাঁদপুর শহরে।

শহরের হাজী মহসীন রোডস্থ সাবেক চিত্রলেখা মোড় এলাকার ইলেট্রিক মিস্ত্রী আতিকুর রহমানের স্ত্রী সুফিয়া বেগম ভুলু তার ছোট দেবর পুরাণবাজর পূর্ব শ্রীরামদী এলাকার মৃত রশিদ সর্দারের পুত্র  হেলাল সর্দারের (২৮) বিরম্নদ্ধে চাঁদপুর মডেল থানায় ইভটিজিংয়ের অভিযোগ  করে। অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁদপুর মডেল থানার এএসআই এহছানুজ্জামান শুক্রবার সকালে শহরের ষ্টান্ড রোডস্থ আজিজিয়া হোটেলে বাবুর্চি চাকুরীরত অবস্থায় আটক করে নিয়ে আসে। বিকেলে চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনুর খান শাহীদের কাছে নিয়ে গেলে ভ্রম্যমাণ আদালত বসিয়ে ইভটিজিং প্রতিরোধ আইন এর ৩৫৪ ও ৫০৯ ধারায় আসামী হেলাল সর্দারকে ১৫ দিনের সশ্রম কারাদন্ডিত করে।

এ ব্যাপারে হেলাল সর্দারের স্ত্রী নাজমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামীর বড় ভাই আতিকুর রহমান তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম ভুলুকে নিয়ে নতুন বাজার বসবাস করেন, আর আমরা পুরাণবাজারে বসবাস করি। বড় ভাবীকে ইভটিজিং করে কিভাবে। পূর্ব শত্রম্নতার জেরধরে ভাবী আমার স্বামীর বিরম্নদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, গত ২বছর পূর্বে আমরা সবাই একসাথে শহরের আদালতপাড়া বসবাস করতাম। এক সাথে থাকাকালীন আমাদের সাথে ভাবীর বহুবার কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে ভাবী আমাকে তালাক দেওয়ার জন্য হেলালের উপর চাপ সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে আমারা ভিন্ন হয়ে পুরানবাজারে নিজ বাড়ীতে চলে যাই। এর পর থেকে ভাবী সব সময় আমাদের নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও সমলোচনা করতে থাকে। আমার স্বামী ভাবীর ষড়যন্ত্রের শিকার। ভাবী সদর উপজেলায় চাকুরী করে। সে চাকুরীর সুবাদে আমার স্বামীর বিরম্নদ্ধে মিথ্যা মামলা করে প্রশাসনকে দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৫ দিনের জন্য জেল হাজতে পাঠিয়ে দিয়েছে।






Shares