Main Menu

গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে বাংলাদেশ ব্ল্যাকহ্যাট হ্যাকার এর বার্তা….

+100%-
গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে বাংলাদেশ ব্ল্যাকহ্যাট হ্যাকার এর বার্তা…..

আমরা স্বাধীনতা বিরোধী নয়, ধর্মীয় সন্ত্রাসী নয়… আমরা দেশের জন্য কাজ করছি..

* পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিপু মনি-কে বলছি-  আমরা কোনভাবেই স্বাধীনতা বিরোধী নয়।
* মোস্তাফা জব্বারকে বলছি- যে ভারত আপনাকে তাদের দেশে যাওয়ার ভিসা দেয় না, সেই ভারতের জন্য কেন দালালী করেন? আর কত দালালী করবেন আপনি?

আমরা বাংলাদেশের সাইবার যোদ্ধা। সীমান্তে দেশের নাগরিকদের নিরাপদ জীবনের দাবী সহ বেশ কয়েকটি উদ্দেশ্যে ভারতের সঙ্গে ‘সাইবার যুদ্ধ’ ঘোষণা করেছি। আমাদের যুদ্ধ চলছে, একের পর এক ভারতীয় ওয়েবসাইট আক্রমণ করে চলেছি।

কেন আমাদের সাইবার যুদ্ধ?

আমাদের সাইবার যুদ্ধগুলোর পিছনে যে দাবী রয়েছে সেগুলো হল:
১. বিএসএফ কর্তৃক সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশী হত্যা কর বন্ধ করতে হবে। দেখামাত্র গুলি করা কোন সভ্য জাতির আচরণ হতে পারেনা। আমরা তাদের কাছ থেকে মানবিক আচরণ চাই। আমরা বলতে চাই, সীমান্তে আর কোন বাংলাদেশী নাগরিকের লাশ যেন না পড়ে।
২. টিপাইমুখ বাঁধ বন্ধ করতে হবে।
৩. তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে।
৪. আমরা চাই ভারতীয় কোন টেলিভিশন চ্যানেল আমাদের দেশে আসবে না, যদি আসে তাহলে আমাদের সবকটি টেলিভিশন চ্যানেলকে পুরো ভারতে চালানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. বাংলাদেশ বিরোধী বিএসএফ-এর সব কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে এবং অপরাধীদের সাজা দিতে হবে।
৬. ভারতকে বাংলাদেশ বিরোধী সব কর্মকাণ্ড থামাতে হবে।

আমাদের মতো কিছু তরুণকে কেন যুদ্ধে নামতে হল?

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ একের পর এক নিরীহ বাংলাদেশীকে হত্যা করে যাচ্ছে। এই রাষ্ট্র তার নাগরিক হত্যার প্রতিবাদ ঠিকমতো করতে পারছে না। নিজ নাগরিককে নগ্ন করে নির্যাতনের পরও যখন এই রাষ্ট্রযন্ত্র চুপ থাকে, দেশের প্রতি যাদের ভালোবাসা আছে, দেশের নিরীহ মানুষদের প্রতি যার ভালোবাসা আছে, সে কিভাবে চুপ থাকবে? সে কেন চুপ থাকবে? সে কি বিবেকহীন? সে কি আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের মত চোখ বুজে থাকে?
রাষ্ট্রযন্ত্র যখন এ সমস্যার সমাধান করতে পারেনি তখন আমাদের মতো একদল তরুণকেই এগিয়ে আসতে হয়েছে, আমরা কিভাবে প্রতিবাদ করতে পারতাম? এরকম সাইবার যুদ্ধ শুরু করা ছাড়া আমাদের আর উপায় কি?

আমরা কি স্বাধীনতা বিরোধী? আমরা কি অপরাধী?

আমরা বলতে চাই, দেশের নিরীহ মানুষগুলোর বুকে তাজা গুলি যারা সহ্য করতে পারেনি সেইসব তরুণরাই এ যুদ্ধের নেতৃত্ব দিচ্ছে। হাজার হাজার তরুণ এখন এ সাইবার যুদ্ধের সঙ্গে জড়িত। দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকেই যুদ্ধে যুক্ত হচ্ছেন সাধারণ যোদ্ধারা। কোন রাজনৈতিক বা ধর্মীয় সংশ্লিষ্টতা নেই এ যুদ্ধের।
আমাদের যুদ্ধে ইসলাম বা অন্যকোন ধর্ম নিয়ে আমাদের কোন ইস্যু নেই, তাহলে কেন আমাদের দেশের গুরুত্বপূর্ণ একজন মন্ত্রী এ প্রতিবাদকে ধর্মের সাথে মিশিয়ে ফেলছেন? খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন, এই সীমান্তে হত্যা কিংবা নির্যাতনের প্রতিবাদে সবাই শামিল আছে। হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান কিংবা বৌদ্ধ। সব ধর্মের যোদ্ধারাই নীরবে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন। একজন হিন্দু যোদ্ধা কিভাবে ‘ইসলামী সন্ত্রাসী’ হয়?
আমাদের সাফ কথা, আমাদের কোন রাজনৈতিক মতাদর্শ নেই। আমরা স্বাধীনতা বিরোধী কোন কার্যকলাপ তো করছিই না বরং স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেবার বিরুদ্ধেই আওয়াজ তুলছি। আমরা মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলতে চাই, আপনি যে মন্তব্য করেছেন তা নিয়ে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মন্তব্য একবার ঘেঁটে দেখবেন কি? তবেই বুঝতে পারবেন তরুণরা কি বলতে চায়। আর সর্বশেষ অনুরোধ, আপনি আপনার বক্তব্যের জন্য দু:খ প্রকাশ করুন, বক্তব্য তুলে নিন।
দেশের নামসর্বস্ব তথ্য-প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আমরা নাকি দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে ধ্বংস করার জন্য নেমেছি। তাঁকে বলতে চাই, দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে কতটি বছর ধরে আপনারা পিছিয়ে রেখেছেন তা কি আমরা ভুলে গেছি? তরুণরা অনেক কিছুই বোঝে, অন্তত কোনটি ভালো কোনটি মন্দ সেটি বোঝার ক্ষমতা তাদের আছে। তারাও এটাও বোঝে যে কি কি বাঁধা তৈরি করে আপনারা দেশের তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করেছেন। আপনি বিসিএসের প্রেসিডেন্ট যখন ছিলেন, তখন দেশে নামসর্বস্ব কিছু তথ্যপ্রযুক্তি মেলা করা ছাড়া আর কি করতে পেরেছেন? দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের কোন সমস্যাটি সমাধানে আপনি ভূমিকা রেখেছেন? বানিজ্যিক উদ্দেশ্য ছাড়া আপনার কোন কর্মকান্ডটি আছে বলতে পারবেন? তরুণরা এসব ভুলেনি, ভুলবে না।

তাঁর মতে, আমরা খুব ভয়ংকর রকমের অপরাধ করছি! আমরা তাঁকে বলতে চাই, সীমান্তে ‘নিরীহ’ মানুষ হত্যা করা কি অপরাধ নয়? গুলি করে পাখির মত কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখাটা কি অপরাধ নয়? একজন মানুষকে উলঙ্গ করে পৈশাচিক উল্লাস করাটা কি অপরাধ নয়? আপনি আমাদের এমন একটা উপায় বলে দিন তো দেখি, যে উপায়ে আপনার ভারতের দাদাদের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে পারি এবং সে উপায়টি হয় ‘ভালো’।

সাইবার যোদ্ধাদের আক্রমণের মধ্যে কিছু ভারত-প্রেমী জামাত-শিবির খুঁজে বের করেছেন। তারা দাবী করেছেন জামাত শিবির যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য ভারতের উপরে সাইবার আক্রমণ করেছে। আমরা বলতে চাই, আমরা পূর্ণ দেশপ্রেম থেকেই এ ধরণের যুদ্ধ শুরু করেছি, চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সঙ্গে কোন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। আমরা যুদ্ধ করছি কেবল আমাদের দাবীগুলো পূরণ করতে, বিজয় না আসা পর্যন্ত এখন আর পিছু হটার সুযোগ নেই। যতক্ষণ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধ না হচ্ছে, আমাদের প্রতিরোধ প্রতিবাদ যুদ্ধ চলতেই থাকবে।

আমরা আজ যে প্রতিবাদ করছি তার আসলে কোন দরকার ছিল না, যদি আমাদের প্রতিনিধিরা-কূটনৈতিকরা তাদের স্থান থেকে সমস্যার পূর্ণাঙ্গ সমাধান করতে পারতেন।

‘বীর বাঙ্গালী কিবোর্ড ধর, ভারত সাইবার ধ্বংস কর’

আমাদের সোজা কথা, দাবী পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সাইবার যুদ্ধ চলবে। আমাদের ভাই-বোনেরা পাখির মতো গুলি খেয়ে কাঁটাতারে ঝুলে থাকবে আর আমরা নীরবে নিশ্চুপ হয়ে বসে থাকবো তা কি করে হয়? আমাদের শরীরে বিদ্রোহীর রক্ত, স্বাধীনতার রক্ত.. সে রক্ত কি আজ প্রতিবাদের পক্ষে কথা বলবে না? আমরা তরুণদের আহ্বান জানাই আমাদের কাতারে শামিল হওয়ার জন্য, যুদ্ধে যোগ দেয়ার জন্য। সবাইকে যোগ দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

মিডিয়া রিলেশন ডিপার্টমেন্ট,
বাংলাদেশ ব্লাকহ্যাট হ্যাকার
ইমেইল: bangladeshblackhathacker@gmail.com

সংগ্রহ- বিদেশ সফরে ড. দীপু মণির সেঞ্চুরীর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাই






Shares