Main Menu

নবীনগরে শত বছরের প্রাচীন ‘কেটু বাবুর দিঘি”কৌশলে ভরাট হয়ে যাচ্ছে

+100%-
সংবাদদাতা :নবীনগর উপজেলার ভোলাচং পৌর এলাকার শত বছরের প্রাচীন দিঘিটি (কেটু বাবুর দিঘি নামে পরিচিত) সরকারি আইন উপেক্ষা করে ফের কৌশলে ভরাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মাসের শুরুর দিকে মালিক পক্ষ একই নিয়মে বালি ফেলে দিঘী ভরাট করতে গেলে এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ হলে প্রশাষনের টনক নড়ে। তাৎক্ষনিক ভাবে ইউএনও (বিদায়ী) দিঘী ভরাট বন্ধে মালিক পক্ষকে নোটিশ প্রধান করেন। এই ঘটনায় ইউএনওর নির্দেশে পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মেজবাহ উদ্দিন বাদী হয়ে পুকুরের মালিক রতন দাস, প্রণব দাস, শিখা দাস, সুজন দাস ও সুমন দাসকে আসামি করে নবীনগর থানায় জলাধার সংরক্ষণ আইনে মামলা করেন।
বালি ফেলা কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর মালিক পক্ষ দিঘীর পশ্চিম পার্শ্বের একটি প্রাইমারী স্কুল ও উওর পার্শ্বের একটি মন্দিরের (গিরিধারী আখড়া) কমিটির স্বাক্ষর সহ দিঘীর চারপাশের রাস্তা তৈরির অনুমোদন চেয়ে উপজেলা প্রশাষন বরাবর আবেদন করেন। পাড় বাধার অনুমতি পেয়ে গত কয়েকদিন ধরে ডাবল ড্রেজারের মাধ্যমে দিন রাত বালি ফেলে কৌশলে এতিহ্যবাহী এই দিঘীটি ভরাটের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ায় উপজেলা প্রশাসন ফের বালি ফেলা বন্ধ করার নোটিশ দেয়। বালি ফেলা ১ সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর সরজমিনে গতকাল বুধবার( ৩০.১০.১৩) সকালে স্পটে গিয়ে দেখা গেছে, ড্রেজার লাগিয়ে দিঘিতে ফের বালি ফেলা হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, প্রশাষনকে ম্যানেজ করেই দিঘি ভরাটের পক্রিয়ায় মাঠে নেমেছে মালিক পক্ষ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার তরুন ছাত্রনেতা বলেন, সরকারী আইন উপেক্ষা করে ব্যাক্তি স্বার্থ হাসিল করতে তাদের এই উদ্দ্যেগ সত্যিই দুঃখ জনক। তিনি বলেন দিঘীটি ভরাট হয়ে গেলে এলাকায় (চৌধুরি পাড়া) সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। দিঘিটি ভরাট হয়ে গেলে এলাকার দু হাজারেরও বেশি মানুষের ভোগান্তির অন্ত থাকবেনা।
তাছারা ও দিঘীর চারপাশের জনবসতির মানুষগুলো দরিদ্র প্রকৃতীর। অনেকের বাড়িতে টিউবয়েল না থাকায় গোসল ও থালা বাসন মাজা সহ দৈনন্দিন বহু কার্যে দিঘিটি ব্যাবহার করত।
ভোলাচং পশ্চিম প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ফরিদা ইয়াছমিন বলেন, স্কুলের অংশ দিঘিতে বিলিন হবার হাত থেকে রক্ষা করতে মূলত পাড় বাধার জন্য মালিক পক্ষকে
সম্মতি প্রদান করা হয়। এখন যদি পুরো দিঘিটি ভরাট হয়ে যায় তাহলে অপূরনীয় ক্ষতি হবে এলাকাবাসীর।
উলে¬ক্ষ্য দুই বছর আগে দিঘিটির অর্ধেক অংশ (প্রায ১৫০ শতক) স্থানীয় ও সদরের কয়েকজন হিন্দু ব্যবসায়ী  প্রায়  তিন কোটি টাকায় কেনেন। কিন্তু দিঘিটির চারপাশের পাড় ভরাটের কথা বলে গত কয়েক দিন ধরে ড্রেজারের সাহায্যে পাইপ লাগিয়ে ওই দিঘিটিকে ভরাট করার পায়তারা চলছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু শাহেদ চৌধুরী বলেন, আমি বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করব।



« (পূর্বের সংবাদ)



Shares