Main Menu

নবীনগরে ১০ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ

+100%-

মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর প্রতিনিধি:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর সদরে এক ১০ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৬ জুলাই শুক্রবার দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই ধর্ষকের নাম জহর আলী জল্লা (৫০) সে পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ড পশ্চিম পাড়ার স্থায়ী বাসীন্দা।
পারিবার সূত্রে যানা যায়, ময়মনসিংহ জেলার হত-দরিদ্র একটি পরিবার গত ৩বছর ধরে নবীনগর পৌর এলাকার ফতেহপুর রোড সংলগ্ন বাসার মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন। গত ১৬ জুলাই শুক্রবার আনুমানিক দুপুর ১২টার দিকে পাশের একটি মুদির দোকানে সদাই নিতে আসলে একই এলাকার লম্পট জহর আলী জল্লা (৫০) তার ফাকা বাসায় ডেকে নিয়ে ঘরের দরজা আটকিয়ে জোরপূর্বক শিশুটিকে ধর্ষণ করতে থাকে।এসময় শিুটির আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন।
ভিকটিমের নানী বলেন, গত ৩ বছর ধরে তিনি এই এলাকায় ভাড়া থাকেন। আগে মানুষের বাসায় কাজ করতেন। বর্তমানে ভিক্ষাবৃত্তি করে পেট চালান। মেয়েটির বাবা ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ হওয়ায় মিয়েটিকে নানিই ছোট থেকে লালন পালন করছেন। কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি আরো বলেন, মানুষের বাড়িতে অহন আর কাজ দেই না। করোনা আহনের পর থাইকা মানুষের বাড়িতে আগের মতন ঢুকতেও দেইনা। অনেক কষ্টে নিজে খেয়ে না খেয়ে মাইনসের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা করে এ বাচ্চাডারে লালন পালন করতাছি। হেই নাতিডারে এমন সর্বনাশ করেছে। আমি এখন আমার নাতনীকে বিয়ে দেবো কেমন করে।
আমি এই বিষয়টা নিয়া কমিশনার ও মাতাব্বরদের কাছে বিচার দাবী করি। জানা যায়, গতকাল ১৮ জুলাই বাদ আছর স্থানীয় মাতব্বররা মোহন মিয়ার বাড়িতে সালিশি বসান। উক্ত সালিশি দরবারে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান ওয়ার্ড কমিশনার আবু তাহের মিয়ার বড় ভাই বিরাজ মিয়া, স্থানীয় মাতব্বর মাজু মিয়া, হবি মিয়া, মাইনুদ্দিন মিয়াসহ এলাকার অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ।
সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ধর্ষণ ঘটনার সত্যতা প্রমাণের পর ধর্ষণকারীকে ক্ষমা চাওয়া ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য্য করেন। এই বিচার মানতে নারাজ ভিকটিম ও ভিকটিমের নানী। আরো জানা যায়, এসময় ভুক্তভোগী বিচার মানতে বিভিন্ন ভয়ভীতিও দেখানো হয়।
এসময় এলাকার স্থানীয় যুবকরা এই বিচার শালীশের বিরোদ্ধে প্রতিবাদ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
স্থানীয়রা জানান, মাতাব্বররা ধর্ষণ বিচারের যে রায় দিয়েছেন তাদের নিজের মেয়ে হলে কি পারতেন এই রায় মেনে নিতে। এই দিকে সুষ্ট বিচার না পেয়ে ভিকটিম বলেন আমরা গরিব ও অন্য জেলার মানুষ হওয়ায় সুষ্ট বিচার পাইনি। আমরা এই বিচার মানিনা। আমরা গরিব বলে কি আমাদের কোনো মাণ ইজ্জৎ নেই।
বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনারে সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে ফোনে পাওয়া যাইনি। কমিশনারে বড় ভাই বিরাজ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এই ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, আমরা স্থানীয়ভাবে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সুষ্ট বিচারের লক্ষে কান ধরে উঠবসসহ ভিকটিমের কাছে ক্ষমা চাওয়া ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার ওসি মো. আমিনুর রশীদ জানান, এ বিষয়ে আজ দুপুরে একটি অভিযোগ পাওয়ার পর তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ধর্ষক জহর আলী জল্লাকে গ্রেপ্তার করি। তার বিরোদ্ধে যথাযথ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।






Shares