Main Menu

নবীনগরে মুজিববর্ষে নিম্নমানের গৃহ নির্মাণের অভিযোগ! সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এক সাংবাদিক লাঞ্ছিত!

+100%-

মিঠু সূত্রধর পলাশ, নবীনগর প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক গতকাল বিকেলে এক সাংবাদিক লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের নূরজাহানপুর গ্রামে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহনির্মাণ কাজে নিম্নমানের কাজ হচ্ছে! এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ওই সাংবাদিক স্থানীয় চেয়ারম্যানের হাতে লাঞ্ছিত হন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে নূরজাহানপুরে ৯০টি গৃহ নির্মাণের কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু ওইসব গৃহনির্মাণে খুবই নিম্নমানের কাজ হচ্ছে, এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বার্তাবাজার নামের একটি অনলাইন পোর্টালের স্থানীয় প্রতিনিধি মো. আক্তারুজ্জামান গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে সেখানে যান। তবে আগের দিন ভিডিও ধারণ করে নিয়ে যাওয়ার পর পুনরায় আজ সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সেখানে উপস্থিত বড়িকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ হারুতের সঙ্গে ওই সাংবাদিকের বাগবিতন্ডা হয়। পরে চেয়ারম্যান তাকে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ করেন সাংবাদিক আক্তারুজ্জামান। স্থানীয়রা জানান, এলাকায় বিভিন্ন সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এ নিয়ে আগেও একাধিকবার সাংবাদিক আক্তারুজ্জামান হামলার শিকার হয়েছেন। কিন্তু সাংবাদিক আক্তার কেন বারবার লাঞ্ছিত ও হামলার শিকার হচ্ছেন, সেটিও প্রশাসন ও সাংবাদিক নেতাদের গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা উচিৎ।”

এ বিষয়ে সাংবাদিক আক্তারুজ্জামান অভিযোগ করেন, ‘গতকালের পর আজ বিকেলে ঘটনাস্থলে গৃহনির্মাণে নিম্নমানের কাজের ভিডিও ধারণ করতে গেলে চেয়ারম্যান হারুত ও তার লোক মনির আমার সঙ্গে মারাত্মক দুর্ব্যবহার করেন ও বাঁধা দেন। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান হারুত আমার গায়ে হাত তুলেন।” আক্তারের দাবি, তিনি সবসময় সত্যটা তুলে ধরার কারণেই প্রভাবশালীরা বারবার তার ওপর হামলা চালান। তবে চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ হারুত বলেন,’সাংবাদিকের গায়ে হাত তোলারতো প্রশ্নই ওঠে না।

তবে আক্তার নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রভাব দেখানোয়, তার সঙ্গে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে। মূলত সামনে নির্বাচন। তাই আমার ইমেজ ক্ষুন্ন করতেই ফেসবুকে এসব আজগুবি মিথ্যে লেখালেখি হচ্ছে।” নবীনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক বলেন,’শুনেছি, বিষয়টি মাননীয় সাংসদ স্যারও অবগত হয়েছেন। সাংবাদিক আক্তার আমাকেও ফোনে সব জানিয়েছেন। তাই এমপি স্যারের উপস্থিতিতে এ বিষয়ে উভয় পক্ষের কথা শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।”






Shares