Main Menu

নবীনগরে বিবস্ত্র করে শিক্ষক পেটানোর ঘটনার আসামিরা ধরা ছোয়ার বাইরে

+100%-

নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে প্রাইভেট পড়ানোর কথা বলে নজরুল ইসলাম নামে এক স্কুল শিক্ষককে বাসায় ডেকে এনে অস্ত্রের মুখে বিবস্ত্র করে এক নগ্ন তরুণীর সঙ্গে ওই শিক্ষকের আপত্তিকর দৃশ্যে ভিডিও ধারণ করে চাঁদা দাবি করার ঘটনায় মূল আসামিরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে।
আলোচিত এ ঘটনায় আহত শিক্ষক নজরুল ইসলাম গত ১৮ জুলাই বাদি হয়ে ভাড়াটিয়া শিশু মিয়া, তার ছেলে জুয়েল রানা ও টাওযারের মালিক ফারুক আহমেদের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজনকে আসামি করে নবীনগর থানায় মামলা করেছেন।
কিন্তু গত ১৬ জুলাই বুধবার রাতে ঘটে যাওয়া এ ঘটনার পনের দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কোন আসামিকেই ধরতে পারেনি। এতে স্থানিয় শিক্ষক সমাজে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
গুরুতর আহত ওই শিক্ষক এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে তার পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন।
এঘটনার অভিযোগে জানা যায়, আসামিরা নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভকেশনাল (কারিগরি) শাখার গণিত বিভাগের ওই সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলামকে মারধর করে ও টাকা না পেয়ে এক পর্যায়ে ওই শিক্ষকের কাছ থেকে বাড়ির (যেখানে শিক্ষক থাকেন) চাবি নিয়ে আলমারি খুলে নগদ ৩০ হাজার টাকা সন্ত্রাসীরা নিয়ে যায়। পরে ওই শিক্ষককে হাত পা বাঁধা অবস্থায় রাস্তায় ফেলে সন্ত্রাসীরা নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়।
শিক্ষকের ওপর এমন ন্যাক্কারজনক হামলায় ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নবীনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোর্শেদুল ইসলাম লিটন ও নবীনগর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু মোছা অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বলেন, সংঘটিত এমন ঘটনায় আমাদের সাধারন শিক্ষক সমাজের মনোবল ভেঙ্গে পরেছে। এ অপরাধের কঠোর বিচার দাবি করেছেন তারা।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বিবেক দেবনাথ জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্ধেহে দুজনকে আটক করা হয়েছিলো।তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদ করে ছেরে দেওয়া হয়েছে। মূল আসামিদেরও গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।






Shares