Main Menu

নবীনগরে এলাকাবাসীর দাবীতে স্কুলের উন্নয়ন ও খেলার মাঠ নির্মাণ,কুচক্রী মহলের বাঁধা

+100%-

মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর লাপাং উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ শতাধীক ছাত্র-ছাত্রিদের মেধা বিকাশে জন্য একটি খেলার মাঠ অতিব জরুরি হয়ে পড়েছে। তাই এলাকাবাসীর দাবীতে স্কুলের পাশের একটি ডুবা ভরাট করে একটি খেলার মাঠ নির্মাণ করা কে কেন্দ্র করে তুলকালামত কান্ড চলছে। এ ঘটনায় ওই এলাকার সুনামধন্য এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদে জড়িয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, এলাকাবাসির বহুদিনের দাবী ছিলো লাপাং উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটি খেলার মাঠ নিমার্ণ করা। সে দাবী পূরণের স্বার্থে গত কিছুদিন আগে স্থানীয় এলাকাবাসী বালু দ্বারা ডুবা ভরাট করে খেলার মাঠ নিমার্ণ করে।
স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল সেখানে কোনো সুবিধা না করতে পেরে বিভিন্ন ভুয়া তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে উস্কে দিয়ে এলাকাবাসীর বহু দিনের কাংখিত দাবীতে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।
এ বিষয়ে স্থানিয় ইউপি চেয়াম্যান মো: ফিরুজ মিয়া জানান,এলাকাবাসীর দাবীতে ও স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা বিকাশের জন্য একটি খেলার মাঠ অতিব জরুরি। সে স্বার্থেই গ্রাম বাসী স্কুলের পাশের একটি ডুবা ভরাট করেছে।এতে সরকারী খাস খতিয়ান ভূমির কিছু অংশ ভরাট হলে বিদ্যালয় ও জনস্বার্থে যথাযথ কৃর্তপক্ষের নিকট শ্রেণি পরিবর্তনের জন্য আবেদন করা হবে।জন কল্যানে ভিন্ন গ্রামের এক কুরুচি সম্পূর্ণ ব্যক্তি জন কল্যানে বাঁধ দিয়েছে। এ বিষয়ে জনস্বার্থে বেঘাত ঘটালে জনগণই তার জবাব দিবে।
লাপাং উচ্চ বিদ্যালয়েরে প্রধান শিক্ষক মোর্শদুল ইসলাম লিটন বলেন,বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে একটি খেলার মাঠ প্রয়োজন। আমাদের স্কুলের মাঠ খুবই ছোট। বার্ষিক ক্রিয়া প্রতিযোগীতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার জন্য আমাদের জায়গা সংকলনে থাকতে হবে। এছাড়াও দ্রুত স্কুলের মাঠে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নির্মিত হবে। এতে করে মাঠের আয়তন অনেক ছোট হয়ে যাবে। এমতাবস্থায় এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে একটি ডুবা ভরাটকে কেন্দ্র করে গ্রামে তোলকালামত কান্ড হচ্ছে। জনসার্থের কাজে আমার নিজ সার্থ হাসিলে নাম জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, বিষয়টি অতন্ত দুঃখ জনক ও মান হানিকর। এ বিষয়ে আইনি প্রত্রিয়া অনুসরণ করা হবে।
স্থানিয় এলাকাবাসী, প্রবীন মুরুব্বি মো:দানেশ মিয়া (সাবেক মেম্বার) মো: জাহাঙ্গির (সাবেক মেম্বার),মো:দারু মিয়া (সাবেক মেম্বার),বিদ্যালয় সংলগ্ন মসজিদের ইমাম মো: নজরুল ইসলাম, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ(স্বাধীন),মো: তুজু মিয়া,জিয়াউর রহমান জিয়া, মো: মোকাছ মিয়া,মো: মোবারক হোসেন,জগদীশ চন্দ্র দাস, গ্রামের শিক্ষক জাহেদ আলী,ইউপি ছাত্রলীগের সভাপতি মো: আশ্রাফুল আলম,বর্তমান ইউপি সদস্য মো: মামুন আশ্রাফসহ স্থানিয় ছাত্র-ছাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান,আমাদের বহুদিনের দাবী ছিলো এই ডুবাটি ভরাট করে স্কুলের খেলার মাঠ নির্মাণ করা। কে বা কারা এই উন্নয়নে বাঁধা দিচ্ছে সেটা আমাদের মাথা ব্যাথার কারন নয়। বিদ্যালয় ও জনসার্থে মাঠ ভরাট জরুরি ছিলো। যার ফলে গ্রাম বাসী বিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থে ঐক্য মতে ডুবা ভরাট করে মাঠ নির্মাণ করেছে। কৃষকের ফসল ফলাতে পানি নিস্কাশনে বাঁধা সৃষ্টি হবে মর্মে যে অভিযোগ তুলেছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কারন পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা বর্তমানেও সচল আছে। অতি দ্রুত আমরা গ্রাম বাসী এই বিষয়টি নিয়ে মাননীয় এমপি সাহেবের সাথে কথা বলার জন্য আমাদের ইউপি চেয়াম্যান সাহেবকে অনুরোধ করেছি।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ডা.এম,এ,বি-সিদ্দিক (ডা.হেলাল) বলেন, বিদ্যালয়টি নির্মিত হয়েছে জন-কল্যানে,যারা এই বিদ্যালয়ের কল্যান মূলক কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে তারা মানুষ নয়। বিষয়টি জেনে কষ্ট পেলাম। এ বিষয়ে আমি কৃর্তপক্ষের সাথে কথা বলবো।






Shares