Main Menu

নবীনগরে অসহায় কহিনুরের চিকিৎসা ব্যবস্থা করলেন ইউএনও মোহাম্মদ মাসুম

+100%-

মিঠু সূত্রধর পলাশ নবীনগর প্রতিনিধি:  ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরের কহিনুরকে আর্থিক দৈন্যদশায় চিকিৎসার অভাবে দীর্ঘদিন ধরে মানবেতর জীবন যাপন থেকে সুস্থ্যভাবে বেচেঁ থাকার স্বপ্ন দেখালেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম। উপজেলার রতনপুর গ্রামের এক অসহায় ভিক্ষুকের সন্তান কহিনুর (১৪) তার পীঠে রড বয়ে নিয়ে চিকিৎসার অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছিল। তাকে ঢাকার ডু-সামথিং ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সোমবার নবীনগর থেকে ঢাকা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি কমিশনার জেপি দেওয়ান তাদের ঢাকার যাওয়া ও খাওয়া দাওয়া বাবদ কহিনুরের হাতে ১৫ হাজার টাকা তুলে দেন।
কহিনুরের পিতা মো.কবির হোসেন ভিক্ষে করে স্ত্রী এক মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে জীবন যাপন করছিল। ছেলে মেয়ে ছোট অবস্থায় বাবা মা দু’ুজনই মারা যায়। সেই থেকে ছোট ভাইকে নিয়ে পরের বাড়িতে ঝি-এর কাজ করে কোন রকমে বেচেঁ থাকার সংগ্রাম করছিল কহিনুর। একদিন তার শরীরে ব্যাথা অনুভব করে সেই ব্যাথা থেকে আস্তে আস্তে তার পিঠ ‘গুছা’ হয়ে যায়। তার ‘গুছা’ পিঠে প্রচন্ডরকম ব্যাথায় যখন সে কাতর, তখন এলাকাবাসি কিছু সাহায্য তুলে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য পাঠায়। চিকিৎসক তার অপারেশন করে পিঠ সোজা করার জন্য পিঠে ষ্টিলের রড ঢুকিয়ে চিকিৎসাপত্র দিয়ে দেয়। তার পর অর্থাভাবে পরবর্তী চিকিৎসা করা হলো না তার। এক পর্যায়ে চিকিৎসার অভাবে পিঠে বসানো রড বের হয়ে যায়। সেই বের হয়ে যাওয়া রড নিয়েই আজ দীর্ঘ পাচঁ বছর পরের বাড়িতে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তার এই মানবেতর জীবনের খবর পত্র পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম তাঁর নীজ উদ্যোগে তার ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মাসুম জানান, আমার পরিচিত স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের মেডিকেল অফিসার কাজী আয়েশা সিদ্দিকার সাথে বিষয়টি শিয়ার করি। তাদের ডাক্তারদের একটি গ্রুপ ‘ডু-সামথিং ফাউন্ডেশনের ব্যানারে সামাজের গরীব অবহেলিত সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে থাকেন। এ বিষয়ে অনুরোধ করায় তারা কহিনুরের সকল প্রকার চিকিৎসার দায়িত্ব ভার গ্রহণ করে।






Shares