Main Menu

ছ`মাস না পেরুতেই লাশ হয়ে ফিরলো নবীনগরের যুবক সৌদি প্রবাসী ইয়ার হোসেন

+100%-

মিঠু সূত্রধর পলাশ :- আনুমানিক বিশ-বাইশ বছরের উঠতি বয়স ইয়ার হোসেনের। চঞ্চলতার রেশ তখনো কাটেনি। সংসারের হাল ধরার মত তেমন বয়সও হয়নি তার! এ বয়সেই পরিবারের সচ্ছলতা আনবে এ চিন্তায় সৌদি আরবে পাড়ি দেয় সে। সেখানে গিয়ে ছয় মাস না পেরুতেই বাড়ি ফিরতে হলো তাকে। তবে সচ্ছলতা নিয়ে নয়! কফিন বক্সে লাশ হয়ে। সেই সঙ্গে পরিবারে জন্য বয়ে এনেছেন এক পাহাড় শোক।

ইয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের (ইব্রাহিমপুর দক্ষিণ পাড়া) লাল মিয়ার ছেলে।মৃত্যুর দুই মাস পর তার লাশ ১৪ ফেব্রুয়ারি বাড়িতে আনা হয়েছে। ১৫ ফেব্রুয়ারী শনিবার জানাজা শেষে তার লাশ দাফন করা হয়৷

ইয়ারের পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, গত বছরের আগষ্টের দিকে স্থানীয় এক দালালের মাধ্যমে ভিসা নিয়ে ইয়ার হোসেন সৌদি আরবের রিয়াদ এলাকায় পাড়ি জমায়।
ওই দেশে গিয়ে চার মাসের মাথায় তার বুকে হঠাত চিনচিন ব্যাথা অনুভব করলে তাকে সেখানকার একটি হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানেই গত ২০ ডিসেম্বর তার মৃত্যু ঘটে৷
এ ঘটনার দুই মাস পর নিজ গ্রামের বাড়িতে তার লাশ শুক্রবার আনা হয়। ১৫ ফেব্রুয়ারী শনিবার বেলা এগারোটায় স্থানীয় ঈগাহ মাঠে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া বিরাজ করছে।

পাঁচ ভাই এক বোনের মধ্যে সে ছিল সবার ছোট। ইয়ার হোসেনের অল্প বয়সে এ মৃত্যু কিছুতেই মানতে পারছেন না পরিবারের লোকজন।

পরিবারের সদস্যরা দাবী করেন, স্থানীয় দের কাছ থেকে অতিরিক্ত সুদে টাকা নিয়ে ভিসা দিয়ে সৌদি আরবে পাঠায় ইয়ার হোসেনকে। সেখানে যে কাজের কথা বলা ছিল তা না দিয়ে তাকে অন্য কাজ দেয়া হয়। সবকিছু মুখ বুঝে সহ্য করেও চারমাস এভাবেই কাটিয়ে দেয় সে। তবে চারমাসেও যখন তার আকামা হয়নি একটাকা বেতনও আসেনি হাতে এ ভাবনায় সে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে। প্রতারক দালালের খপ্পরে পরে সে দিনদিন অন্যমনস্ক হতে থাকে।

বাড়ি থেকে ওই দেশে থাকা তার আপন বড় ভাইকে বিষয়টি অবগত করা হয়। সেও সেদেশে থাকা দালালের ছেলে ইমরানের কাছে বিষয়টি তুলে ধরায় ইমরান তার ভাইকে মারধর করেন। গত বছরের শেষ দিকে কর্মস্থলে তার বুকে ব্যাথা অনুভুত হলে ওই ব্যাথা থেকে তার মৃত্যু হয়।






Shares