নবীনগরে স্কুলে শিক্ষকদের গালিগালাজ, কক্ষ ভাংচুর
মিঠু সূত্রধর পলাশ, নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলে রান্না করে খাবারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আর এতে বেজায় চটেছেন বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রোস্তম আহাম্মদ।
তিনি শিক্ষকদের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে অশ্লীল গালিগালাজ করেছেন। ভাঙচুর করেছেন থালা, বাসন ও গ্যাসের চুলা। মাটিতে ফেলে দিয়েছেন চাল-ডাল। পরে অফিসের একটি কক্ষে তালা ঝুলিয়ে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন সভাপতি।
মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরা আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু করেন। অনেকে নিজেদের বাড়ির দিকে চলে যান।
খবর পেয়ে নবীনগর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল আউয়াল, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিম সবুজ, সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদ হাসান, সলিমগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই শফিকুল ইসলাম রাজা ও এএসআই মোহাম্মদ ইউসুফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তারা।
এই বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল আউয়াল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুমের সঙ্গে কথা বলে থানায় লিখিত অভিযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন ভুক্তভোগীদের।
এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিল্কী মোহাম্মদ রেজা বলেন, রোস্তম আলম অফিসে এসে আমাদের সব শিক্ষকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। টেবিল চেয়ার ভাঙচুর করে একটি শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সভাপতি মোহাম্মদ রোস্তম আহাম্মদ বলেন, এক বছর ধরে শিক্ষক-শিক্ষিকারা একটি কক্ষ দখল করে দুপুরের খাবারের জন্য রান্না করছিল। শিক্ষার্থীদের পাঠদানে মনযোগ নেই শিক্ষকদের। এ কারণে কক্ষটিতে তালা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ডিগ্রি পাশ না হওয়ায় শিক্ষকরা তাকে সভাপতি থেকে বাদ দিতে চেয়েছিল। তাই নিজের স্ত্রী সৈয়দা সুলতানা নুরুন্নাহারকে সভাপতি দেখিয়ে রেজ্যুলেশন করে উপজেলায় প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
এ বিষয়ে নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মকবুল হোসেন বলেন, ঘটনাটি শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা ঘটনার সত্যতা পেয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।