Main Menu

জাতির জনকের শাহাদাৎ বাষির্কী উপলক্ষে জেলা ছাত্রলীগের শোক র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

+100%-

ডেস্ক ২৪:: হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, স্বাধীনতা আন্দোলনের মহানায়ক, বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৪০ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের এক শোক র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গন থেকে শোক র‌্যালী শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক টি রোড প্রদক্ষিণ শেষে কুমারশীল মোড়স্থ সুর স¤্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গিতাঙ্গনে এসে শেষ হয়। পরে এখানে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,  পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কার্যর্নিবাহী কমিটির অন্যতম নেতা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার। সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলগের সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মাহবুবুল আলম খোকন, উপ দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ মাসুম বিল্লাহ। সভা পরিচালনা করেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাসেল মিয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হোসেন রুবেল।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন শোভন।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মাত্র কয়েক বছর পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে সপরিবারে হত্য করা হয়। কারণ তিনি বাঙ্গালীদের জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্রভূমি প্রতিষ্ঠা করে ছিলেন। তিনি রবিন্দ্র-নজরুলের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যা মুক্তিযুদের পরাজিত শক্তিদের পছন্দ হয় নি। তাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে ঘাতকরা চেয়েছিল পাকিস্থনী ভাবআদর্শের একটি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে। একটি কায়িমী স্বার্থগেষ্ঠি তৈরীর মাধ্যমে দেশে সমূদয়সম্পদ নিজেদের দখলে রাখতে এবং দেশের সাধারণ জনগনকে শাসন ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যর পর সঠিক নেতৃত্ব ছিল না বলেই আওয়ামীলীগের দূর্বলতার সুযোগে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিরা দেশে পূর্ণবাষিত হয়েছে। তার মৃত্যুর পর আওয়ামীলীগের নেতাদের নিজেদের রাজনৈতিক দূর্বৃত্তয়ানের কারেন বঙ্গবন্ধুর খুনিরা সমায়িক সফলতা পেয়েছিল। তারা নানা অপপ্রচারে বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শকে ছোট করার অপচেষ্টা করেছির। কিন্তু তারদের সে অপচেষ্ট সফল হয়নি। কারন বঙ্গবন্ধু ছিলেন জনগনের নেতা। জনগণের জন্য ছিল তার জীবন আদর্শ এবং রাজনৈতিক দর্শন। সে কারেনই দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগ ক্ষমাতয় না থাকলেও বঙ্গবন্ধুর আর্দশ বেঁচে ছিল এবং তা আজ বহুগুনে পূর্ণউজ্জবিত হয়ে সারাদেশে, সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পরেছে। তিনি সকলের উদ্যশ্যে বলেন আমরা যদি নিজেরা খারাপ কাজ করি তাহলে জনগণ থেকে থেকে বিচিন্ন হয়ে যাব। আর জনগণ থেকে বিছিন্ন হয়ে রাজনৈতিক ভাবে সফল হওয়া যায় না।

মোকতাদির চৌধুরী ব্যক্তি জীবনে বঙ্গবন্ধুর সহচার্য পাওয়ার সৌভাগের কথা স্মরণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন যা তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে পাওয়া যায় আমাদের সকলের আব্যশিক পাঠ্য হওয়া উচিত। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুকে পড়তে হবে, বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। তাঁর আদর্শকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে এবং তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে গনতন্ত্র, উন্নয়ন ও ডিজিটালইজেশনের যে আন্দলোন শুরু করেছেন তার সঙ্গে আওয়ামীলীগ-ছাত্রলীগ সকল পর্যায়ের নেতাদের সম্পৃক্ত হতে হবে।

সভায় জেলা আওয়ামীলীগ, অঙ্গ সংগঠনের ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।






Shares