Main Menu

সদর হাসপাতালের ভাংচুরকারীদের কোন ধরণের ছাড় দেয়া হবে না-র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি

+100%-

ডেস্ক ২৪:: প্রধান মন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব, বিশিষ্ট লেখক, মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি বলেছেন, সদর হাসপাতালের ভাংচুরকারীদের কোন ধরণের ছাড় দেয়া হবে না।

তিনি গতকাল মঙ্গলবার রাতে সদর হাসপাতাল পরিদর্শনকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের একথা বলেন। মোকতাদির চৌধুরী এম.পি হাসপাতালের ভাংচুরকৃত প্রতিটি কক্ষ ঘুরে ঘুরে দেখেন। এ সময় তিনি ভাংচুরকৃত এ্যাম্বুলেন্স, মাইনর ওটি এবং চিকিৎসকদের কক্ষ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসা সেবায় যদি কোন ত্রæটি থাকে তাহলে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মিছিল করা যেত, বিক্ষোভ করা যেত কিন্তু কোনভাবেই হাসপাতালে ভাংচুর মেনে নেয়া যায় না। মোকতাদির চৌধুরী এম.পি বলেন, ভাংচুরকারীরা যত শক্তিশালী হউক তাদেরকে দ্রæত আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, ইতি মধ্যেই হাসপাতালের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলে বিষয়টি তদন্ত করতে আরো একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

মোকতাদির চৌধুরী এম.পি হাসপাতাল পরিদর্শন কালে উপস্থিত লোকজন, হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স চালক হুমায়ুন লস্করের কর্তব্য কাজে অবহেলা সহ তার নানা অনিয়ম তুলে ধরেন। হাসপাতাল পরিদর্শনকালে জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, সহ সভাপতি তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন, মোঃ হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা বিএমএর সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আবু সাঈদ, সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ রানা নুরুস্ শামস, সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী আফজাল হোসেন নিছার, সদর বিআরডিবির চেয়ারম্যান এম এ এইচ মাহবুব, জেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি অ্যাডঃ শাহানুর ইসলাম সহ সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য গতকাল দুপুরে সদর হাসপাতালে শহরতলী নাটাই গ্রামের শিশু নিলয়ের মৃত্যু হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক ও এ্যাম্বুলেন্স চালক হুমায়ুন লস্করের অবহেলায় শিশুর মৃত্যু হয়েছে এই অভিযোগে নাটাই গ্রামের উত্তেজিত লোকজন সদর হাসপাতালে হামলা চালিয়ে সদর হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসকদের ১০টি কক্ষ সহ হাসপাতালে ব্যাপক ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে হামলাকারীরা পুলিশের উপর চড়াও হয়। এতে পুলিশ সহ ১০জন আহত হয়।






Shares