Main Menu

ঢাকায় নিয়ে যেতে এ্যাম্বুলেন্স চালকের অপারগতা:: শিশুর মৃত্যু, স্বজনদের ভাংচুর

+100%-

ডেস্ক ২৪::ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নিলয় (৬) নামের এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাংচুর করেছে স্বজনরা। উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে সদর হাসপাতালের এক এ্যাম্বুলেন্স চালক ‘অপারগতা’ জানানোর পর শিশুটির মৃত্যু হলে বিক্ষুব্ধ স্বজনরা এ ভাঙচুর করে। পরে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে এক এসআইসহ পাঁচজন আহত হন। মঙ্গলবার দুপুর একটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

শিশু নিলয় সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদের ছেলে। মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির দেয়ালচাপা পড়ে সে গুরুতর আহত হন।

স্বজনদের অভিযোগ, গুরুতর আহত অবস্থায় শিশু নিলয়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রেফার্ড করেন। কিন্তু সদর হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স চালক হুমায়ূন ঢাকায় যেতে অপরাগতা প্রকাশ করলে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের এ্যাম্বুলেন্স খুঁজে এনে আধাঘণ্টা পর শিশুটিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাবার পথে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ স্বজনরা সদর হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুলিশের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সোহাগ ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আশরাফুল আলম টিটুসহ ৫ জন আহত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশ তিন রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়ে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রানা নূরুস শামস জানান, ‘এই ঘটনার জন্যে হাসপাতালের কেউ দায়ী নয়। তাছাড়া চিকিৎসা অবহেলায় শিশুটির মৃত্যু হয়নি।’ মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ তিন রাউন্ড গুলি ছুড়েছে। হাসপাতাল ভাঙচুরকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মামলা করতে চাইলে মামলা যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’






Shares