Main Menu

সেটেলম্যান্ট অফিসে ঘুষ বাণিজ্য

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ,সরাইল প্রতিনিধি ::ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর সেটেলম্যান্ট অফিসে পর্চা বিতরনে চলছে মোটা অংকের ঘুষ বাণিজ্য। শোষিত হচ্ছে অজপাড়া গাঁয়ের দরিদ্র কৃষক ও সাধারন মানুষ। বাণিরজ্য ব্যস্ত রয়েছে অর্ধডজনের অধিক স্থানীয় দালাল চক্র। অফিসের ইনডেক্স বাহিরে নিয়ে মাটিতে ফেলে ইচ্ছেমত টাকা কামাই করছেন নাইট গার্ড ফরিদ মিয়া। তাদের টার্গেট দুই লক্ষাধিক টাকা। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি অকপটে স্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্টরা। সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলা সেটেলম্যান্ট অফিসে  শত শত লোকের ভিড়। কারো হাতে কাগজের টোকেন। কারো হাতে পুরাতন পর্চা। টেবিলে বসে পর্চা বিতরন করছেন অফিসের চেইনম্যান  আনোয়ার হোসেন ও এম এল এস এস নজরুল। তারা দুহাতে নিচ্ছেন টাকা। কোন রশিদ দিচ্ছেন না কাউকে। টাকাটা পকেটে রেখেই লোকদের বলছেন এস সপ্তাহ পরে আসবেন। প্রত্যেকটি পর্চার সরকার নির্ধারিত মূল্য ষাট টাকা হলেও সাধারন খেঁটে খাওয়া লোকদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ১২০ টাকা। দাগ নাম্বার তালাশের নামে নেয়া হচ্ছে টাকা। দ্বিগুন টাকা আদায়ের বিষয়টি অকপটে স্বীকার করছেন তারা। বিভিন্ন এলাকার অর্ধডজনেরও অধিক দালালের উপস্থিতি রয়েছে ওই অফিসে। প্রত্যেক দালালের হাতে রয়েছে শতাধিক পর্চা। পাশের একটি পরিত্যাক্ত ভবনে মাটিতে ইনডেক্স ও প্রিন্ট করা পর্চা নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসে আছেন ফরিদ মিয়া। তার সাথে বসে আছেন কয়েকজন দালাল। দালালরা লোকজন নিয়ে আসছেন আর ফরিদ মিয়া টাকা নিচ্ছেন। টাকা হাতে পাওয়ার পর কারো হাতে তুলে দিচ্ছেন দাগ নাম্বার কারো হাতে পর্চা। মাঝে মধ্যে টাকা কম দিলে ধমকও দিচ্ছেন জমির মালিকদের। সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন দালালরা। গোয়াল নগর ইউনিয়নের কদমতুলি গ্রামের বাসিন্ধা গিয়াস উদ্দিন (৬০) বলেন, ২টি পর্চার জন্য স্যারেরা ২’শ ৪০ টাকা নিয়েছেন। এক সপ্তাহ পর দেখা করতে বলেছেন। মাইজখলা গ্রামের কুদ্দুছ (৫২), কদমতুলির আবদুর রাজ্জাক (৫০) ও কৈরলকোপার আবদুস ছালাম  বলেন, পর্চার জন্য তারা ১’শ ২০ টাকা নেয়। আবার দাগ নাম্বারের জন্য দিতে হয় টাকা। এক সপ্তাহর আগে তাদের সাথে কথা বলা যায় না। চেইনম্যান আনোয়ার হোসেন, এম এল এস এস নজরুল ও নাইট গার্ড ফরিদ মিয়া টাকা বেশী নেওয়ার কথা স্বীকার করে কলেন, দাগ নাম্বার বের করতে একটু কষ্ট করতে হয়। এরপর অন্যান্য খরচ আছে। সহকারি সেটেলম্যান্ট অফিসার মোঃ নজিবুর রহমান বলেন, ৬০ টাকার বেশী নেওয়ার কোন বিধান নেই। ইনডেক্স ভিতরে রেখে নাম্বার দেওয়া যাবে। বাহিরে নেওয়া আইনসিদ্ধ নয়। আমি পাঁচটি থানার দায়িত্বে আছি। তাই পর্চা ডেলিভারি দিতে একটু সময় লাগে। নাসিরনগর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন বাবু বলেন, পর্চা বা খতিয়ানের সরকারি মূল্য আমার জানা নেই। এ ছাড়া ওই অফিসে কি হচ্ছে না হচ্ছে আমার কিছুই জানা নেই।  

 

-সঞ্জয়






Shares