Main Menu

তবু মনে রেখো…

+100%-

ডেস্ক ২৪ :মহানায়িকার মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পরেই হাসপাতালে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই মধ্যে প্রশাসনিক তত্পরতা তুঙ্গে ওঠে। বেলা ১০টা ২০ নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী নিজেই হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের কাছে সুচিত্রার প্রয়াণ সংবাদ ঘোষণা করেন। সুচিত্রা-কন্যা মুনমুন হাতজোড় করে সংবাদমাধ্যমকে প্রণাম জানান। বলেন, ‘‘মায়ের হয়ে আপনাদের প্রণাম।’’ ঠিক হয়, যত দ্রুত সম্ভব তাঁর দেহ বালিগঞ্জের বাড়ি হয়ে কেওড়াতলা শ্মশানে শেষকৃত্যের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। পোড়ানো হবে চন্দন কাঠে।

ইতিমধ্যে বেলুড় মঠ থেকে হাসপাতালে এসে পৌঁছন তিন সন্ন্যাসী স্বামী বিমলাত্মানন্দ (তাপস মহারাজ), স্বামী সুদেবানন্দ (মাখন মহারাজ), স্বামী গুরুদশানন্দ (উজ্বল মহারাজ)। মৃতদেহের গলায় শ্রীরামকৃষ্ণের প্রসাদী মালা পরিয়ে দেওয়া হয়। মৃতদেহে পরানোর জন্য মুনমুনের হাতে তুলে দেওয়া হয় সারদাদেবীর প্রসাদী শাড়ি। এসে

পৌঁছয় শববাহী গাড়িও। তত ক্ষণে সুচিত্রাকে পরানো হয়ে গিয়েছে শেষযাত্রার পোশাক। সাদা বেনারসি। তার উপরে জড়ানো সোনালি গরদের চাদর। ঘোমটা দেওয়া। কপাল থেকে চিবুক পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে ঘোমটার ভিতর থেকে। যেন শান্তিতে ঘুমিয়ে আছেন। কফিনে বন্ধ মহানায়িকার মরদেহ ফুল দিয়ে সাজানো ওই গাড়িতে তোলা হয় বেলা সাড়ে ১২টায়।
পুলিশ পাইলট দিয়ে শববাহী গাড়ি বের হয় হাসপাতাল থেকে। এই গাড়ির পিছনেই ছিল মুনমুন, রিয়া ও রাইমার গাড়ি। তার ঠিক পিছনেই মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি। মরদেহ নিয়ে গাড়ির কনভয় যায় বালিগঞ্জের বাড়িতে। সেখানে মিনিট পাঁচেক মরদেহ রেখে সোজা কেওড়াতলা।
আগেই মহানায়িকাকে গান স্যালুট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। দুপুর ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ শ্মশানে তাঁকে গান স্যালুট দেওয়া হয়। দুপুর ১টা ৫০ নাগাদ শুরু হয় শেষকৃত্য। সেখানে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রী, পুলিশ-প্রশাসনের বিভিন্ন কর্তাব্যক্তি। শ্মশান চত্বর এবং আশপাশে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। সুচিত্রার আপামর ভক্ত ভিড় করেছিলেন শ্মশানের বাইরে। এমনকী, চেতলা ব্রিজের উপরেও তিলধারণের জায়গা ছিল না। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রবীন্দ্র সদন চত্বরেও ছবি রাখা হয়েছিল।
সুচিত্রার মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই যে ভিড় শুরু হয়েছিল হাসপাতালের বাইরে, সেই ভিড়ই কার্যত জনসমুদ্রে পরিণত হয় শ্মশানে। শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ।

 







Shares