Main Menu

কসবায় সংর্ঘষে বাড়িঘর ভাংচুরসহ আহত ৫

+100%-

কসবা প্রতিনিধি ঃ  ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলার মেহারী ইউপির খেওড়া গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় বসত বাড়ির জাগার মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা মোকাদ্দমার জের ধরে দুই পক্ষের মাঝে ব্যাপক সংর্ঘষে দুই পক্ষের ৫জন আহত সহ প্রভাবশালী এক পক্ষ থানায় মামলা দায়ের করার সংবাদ পাওয়া যায়।
ক্ষতিগ্রস্থ নিরহ পরিবার গোলাম হাক্কানী অভিযোগ, একই গ্রামের হাজী নাছির উদ্দিন গংরা একদল বহিরাগত সস্ত্রাসীদের হাতে থাকা দাঁ, ক্যরিজ, রড,লাঠি, সোটা নিয়ে গত শনিবার (১১ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে সাতটায় হামলা চালিয়ে আপন চাচাত ভাই গোলাম হাক্কানীর তিনটি ঘর কুপিয়ে তচনছ করে ঘরের মালামাল লুট করাসহ ২জনকে আহত করে। হামলাকারীরা ঘরের ধান, চাউল, নগদ টাকা নিয়ে যায়। একই সাথে ঘরের রান্না করার চুলা, ডেক ডেকসি. থালা বাসুন গুলো পর্যন্ত ভেংগে ছন্ন বিছন্ন করে ফেলে  যায়।
হাজী নাছির উদ্দিনের অভিযোগ, তার ফেলে রাখা খালী বসত ভিটিতে গোলাম হাক্কানী পিতা মৃত্যু রফিজ উদ্দিন গংরা ঘর তুলে জাগা দখলের চেষ্টা অব্যাহত ছিল। দুই পক্ষের আহতদেরকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের থেকে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নেওয়া হয় বলে উভয় পক্ষরা জানান।
গত শনিবার (১১ জানুয়ারী)সকালে গোলাম হাক্কানী টিনের ঘর তুলতে গিয়ে এমতাবস্থায় নাছির উদ্দিন তার ছেলে বাচ্চুসহ গোলাম হাক্কানীগংদেরকে বাধা দিলে উভয় পক্ষের মাঝে  ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটে এবং সংর্ঘষে নাছির উদ্দিনের ৩ জন লোক আহত হয় বলে মামলার বাদী মো.বাচ্চু মিয়া স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে জানান। বাচ্চু মিয়া পিতা হাজী নাছির উদ্দিন গত ১১ জানুয়ারী শনিবারই কসবা থানায় বাদী হয়ে গোলাম হাক্কানী, দারু মিয়া পিতা মৃত্যু সফিল উদ্দিন ও তিন মহিলা সহ ১২ জনকে আসামী করে কসবা থানা মামলা নং-১৫, ধারা ১৪৩/৩৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩০৭/৩৭৯/৩৮০/৩৫৪/৪২৭/৫০৬/৩৪ পেনাল কোড রুজু করেন।
১৩ জানুয়ারী সোমবার কসবা থানার ওসি মিজানুর রহমান মামলা দায়ের করার সততা শীকার করেছে। স্থানীয় লোকজন ন্যায় বিচার করে দেওয়ার অঙ্গিকারে গোলাম হাক্কানী থানায় সেই বিশ্বাসে অভিযোগ দায়ের না করিলেও প্রভাবশালী হাজী নাছির উদ্দিনের ছেলে মো.বাচ্চু মিয়া মামলা দায়ে করেছেন। গত রবিবার সন্ধ্যায় গ্রামবাসী গোলাম হাক্কানী গংদের উপর দায়ের করা বাচ্চু মিয়ার মামলাটি উভয় পক্ষের শান্তীর লক্ষে প্রত্যাহার সহ পুলিশী হয়রানী  না করার দাবী জানান।
মেহারী ইউপি সদস্য জুয়েল, মেহারী ইউপি ও খেওড়া গ্রামের সাবেক মেম্বার (সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) আব্দুল বাতেন মিয়া, ফরিদ মিয়ার নেতৃত্বে ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি দল উভয় পক্ষের মতামত নিয়ে গত রবিবার সন্ধ্যায় সমাধানের জন্য এক সভায় মিলিত হন। এতে উভয় পক্ষ শান্তীর লক্ষে সামাজিক ভাবে মিমাংসায় একমত হয়েছে  বলে  আব্দুল বাতেন মিয়া সাংবাদিকদেরকে ১৩ জানুয়ারী সোমবার সকালে জানান।
গ্রামবাসী জানান প্রভাবশালী নাছির উদ্দিনের বহিরাগত লোকজন দিয়ে হামলা চালিয়ে গোলাম হাক্কানীর বাড়ি ঘর ভাংচুর সহ তান্ডবের ঘটনাটি স্বাধীনতার পর এমন বর্বর হামলার দৃশ্য এই গ্রামে পূর্বে  ঘটেনি। তাই এই ঘটনার নিন্দাজ্ঞাপন সহ অপরাধীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মূলক বিচার দাবী করেছেন। এই হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্তমানে উভয়ের মাঝে এখনও টান টান উওেজনা বিরাজ করছে বলে বিশেষ সূত্রটি জানান।






Shares