স্টাফ রিপোর্টার : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলাধীন ধরখার ইউপির রুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দীর্ঘ দিন যাবৎ অনিয়ম আর করুণ অবস্থার বেড়াজালে আবদ্ধ। ৫জন শিক্ষক দ্বারা ৬শত ৮১জন ছাত্র-ছাত্রীর এই বিদ্যালয়ের পাঠদান পরিচালিত হচ্ছে। পানির টিউবয়েল নেই,টয়লেট ব্যাবহার অনুপযোগী,বিনোদনের জন্য বাদ্যযন্ত্র থাকার কথা থাকলেও তাও নেই,জাতীয় পতাকার অবস্থা খুবই করুন, সীমানার খুটি নেই, অবহেলা অযত্নে পড়ে আছে রুটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাজল চন্দ্র শীল রুটি বাজারে তার মিষ্টি দোকান থাকায় বেশীর ভাগ সময় দোকানেই কাটায় এবং বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে বই বিতরণের অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া গত ২০১২-২০১৩ইং অর্থ বছরে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন পরিকল্পনায় অর্ন্তভুক্ত সম্পাদিত কাজের খরচের বিবরণীতে ৩০হাজার টাকা দাখিল করা ভাউচারের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে সচেতন মহলের মাঝে। খরচের ভাউচার : ৫/২/২০১৩ইং-১,৩৭০.০০টাকা ৪,২৯০ টাকা, ৬/২/২০১৩ইং-৩,৬৪০টাকা, ৭/২/২০১৩ইং-হারমোনিয়াম ১টি-৭,৫০০ টাকা,৯/২/২০১৩ইং-৬,৩০০ টাকা, ১০/২/২০১৩ইং-৩,৯০০ টাকা, মোট টাকার পরিমান=৩০,০০০ টাকা। এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষক কাজল চন্ত্র্র শীলের সাথে যোগাযোগ করা হলে বিদ্যালয়ের সমস্যার কথা বললেও খরচের ভূয়া বাউচার জমা প্রদান সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে এড়িয়ে যান। রুটি গ্রামের কয়েকজন শিক্ষিত ব্যাক্তি জানান, শিক্ষার্থীদের বই বিতরণে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ,পানির টিউবয়েল অভাব,হারমোনিয়াম ক্রয় না করে মিথ্যা ভাউচার জমা বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে প্রতিবাদ করেও লাভ হয়নি। তিনি আরোও বলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নির্দেশেই এই সব বাউচার করেছেন। এই বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ফেরদৌস এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, তাই তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত টিমের মাধ্যমে বিষয়টি খতিয়ে প্রমাণ হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণকরা হবে বলে জানান। আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোরশেদ শাহরিয়ারেরর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে ডেকে এনে রুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিষয়টি সরেজমিনে তদন্তক্রমে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছেন বলে জানান। এলাকাবাসী জানান রুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নানাবিধ সমস্যা, তাই শিক্ষাথীরা এই বেড়াজাল থেকে বের হয়ে আলোতে আসার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। |