Main Menu

কসবায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টার দৃশ্য ধারণ করে মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে মামলা

+100%-

প্রতিনিধি ঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় এক প্রবাসীর কন্যা ও স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টা ও ওই দৃশ্য ভিডিওতে ধারন করে মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর গত ১৪ আগস্ট  রাতে কসবা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
স্কুল ছাত্রীর পরিবার, পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের বাড়াই আলহাজ্ব শাহআলম উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী-(১৪)কে প্রায় উত্তক্ত করতো একই গ্রামের জাহের খাঁর ছেলে জুয়েল খাঁ-(২০)। বিষয়টি স্কুল ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে জুয়েল খাঁর পরিবারকে জানালে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। গত ১ আগস্ট সকালে স্কুল ছাত্রী তার নানার বাড়ি পাশ্ববর্তী  বাড়াই গ্রামে যাওয়ার পথে জুয়েল খাঁ ও তার  সহযোগীরা স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধরে জঙ্গলে নিয়ে যায় ও পড়নের কাপড় ছিড়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ও ডিজিটাল ক্যামেরা গাছে বেঁধে এবং মোবাইল ফোনে নগ্ন ছবি ভিডিও করে। পরে স্কুল ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। বিষয়টি স্থানীয় সর্দার শাহআলম খাঁসহ কয়েকজন সর্দারকে জানালে দায়সারা একটা সালিশ করে কিছু নগ্ন ছবি মোবাইল থেকে মুছে ফেলা হয়। কিন্তু ডিজিটাল ক্যামারায় সকল ছবি ও ভিডিও রয়ে যায়। পরবর্তীতে এই নগ্ন ছবি বিভিন্ন মোবাইল মোবাইলে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে স্কুল ছাত্রীর মা বলেন; তার স্বামী বিদেশে চাকুরী করেন। মেয়েটিকে নিয়ে তিনি বাড়িতে থাকেন। এই সুযোগে জুয়েল তাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো। বিষয়টি জুয়েলের বাবা মাকে জানালে সে ক্ষিপ্ত হয়ে তার মেয়েকে জোরপূর্বক জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে এবং ক্যামেরা ও মোবাইল ফোনে নগ্ন ছবি ও ভিডিও করে। বিষয়টি স্থানীয় সর্দার শাহআলম খাসহ কয়েকজন সর্দারকে জানালে দায়সারা বিচার করে কিছু ছবি মোবাইল থেকে মুছে  দেয়। পরে ডিজিটাল ক্যামেরায় থাকা নগ্ন ছবি মোবাইল ফোনে ছেড়ে দেয়।
গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম মোল্লা বলেন, যেহেতু নিজেদের মধ্যে ঘটনা হয়েছে, তাই স্থানীয় ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করছি।
জগন্নাথপুর গ্রামের সর্দার শাহআলম খাঁ বলেন, শালিসের মাধ্যমে কিছু নগ্ন ছবি উদ্ধার করা হয়েছে। জুয়েল গ্রাম থেকে পালিয়ে গেছে। তাকে এনে পুনরায় শালিস করে বাকী ছবি ও ভিডিও উদ্ধারের চেষ্টা করছি।
অভিযুক্ত জুয়েল খাঁর বাবা জাহের মিয়া বলেন, ছেলেটি খারাপ কাজ করেছে। কিন্তু কি করব বুঝে উঠতে পারছি না।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ বদরুল আলম তালুকদার বলেন, নগ্ন ছবি ও ভিডিও জব্দ করা হয়েছে।  এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে জুয়েল খাকে প্রধান আসামী করে তার আরো ৩ সহযোগীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষনের চেষ্টা এবং তথ্য প্রযুক্তির আওতায় প্রণোগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।






Shares