সংগীত সম্প্রীতি ও ভালবাসার সেতু নির্মান করে.....ড. রাধাকান্ত সরকার
কসবায় সংগীত প্রশিক্ষন
কসবা প্রতিনিধি ॥ সংগীত মানুষের মাঝে সম্প্রীতি ও ভালোবাসার সেতু নির্মান করে। সংগীত মানুষকে নমনিয়তা শেখায়। তিনি ভারতÑবাংলাদেশের ভিসা প্রথা বাতিল চাইলেন দুই বন্ধু দেশের মধ্যে। কসবা শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত দু’দিন ব্যাপী প্রশিক্ষনের সমাপনী অনুষ্ঠানে কথা বলছিলেন পশ্চিম বঙ্গের বিশিষ্ট লেখক, নাট্যকার, সাংবাদিক ও বিশ্ববংগ সাহিত্য সম্মেলনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক ড. রাধাকান্ত সরকার।
সংগীত প্রশিক্ষক ভারতের বিশিষ্ট সুরকার, শিল্পি ড. শিবানী দাস শিক্ষার্থীদের আবেগঘন চিঠি পেয়ে ভারক্রান্ত হয়ে কেঁদে ফেলেন। বললেন; যখনই আপনারা আমাকে ডাকবেন আমি এখানে আসবো। এ মাটি আমার সংগীত গুরু সুরসাধক অমরপালের জন্মস্থান।
কসবা প্রেসক্লাব সহ-সভাপতি নেপাল চন্দ্র সাহার সঞ্চালনায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি সভাপতি মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন; কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, কসবা পৌরমেয়র গোলাম হাক্কানী, কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ সোলেমান খান, সাংস্কৃতিক সংগঠক জহিরুল ইসলাম স্বপন ও প্রশিক্ষনার্থী সৃষ্টি রায়।
উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভ’ইয়া জীবন বলেন, প্রশিক্ষনের কোনো বিকল্প নেই। সংস্কৃতি চর্চাকে এগিয়ে নিতে হবে সম্মিলিতভাবে। তিনি দু’দিনের প্রশিক্ষন যে যথাযথ হয়েছে এজন্য প্রশিক্ষক ড. শিবানী দাসের ভূঁয়সী প্রশংসা করেন।
সভাপতির ভাষনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান বলেন, ভারত থেকে দু’জন প্রশিক্ষক এসে কসবায় প্রশিক্ষন দিয়ে আমাদের ধন্য করেছেন। এই প্রশিক্ষনটি আন্তর্জাতিক মর্যাদার দাবী রাখে। দু’দিনে শিক্ষার্থীদের সংগে ড. শিবানী দাসের যে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি হয়েছে এবং আবেগঘন পরিবেশ হয়েছে তা দেখে আমি অভিভূত। পরে প্রশিক্ষনার্থীদের সনদ বিতরন করা হয়। সবশেষে ছিলো মনোজ্ঞ সংগীতানুষ্ঠান।