কসবায় মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে কবির আহাম্মদ ভূঁইয়ার নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু



রুবেল আহমেদ : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে সম্বাব্য প্রার্থী হিসেবে এলাকায় গণসংযোগে নেমেছেন জেলা বিএনপি’র সদস্য আলহাজ্ব কবির আহাম্মদ ভূইয়া। বুধবার বিকেলে কসবা আড়াইবাড়ী দরবার শরীফ মসজিদে আসর নামাজ শেষে আড়াইবাড়ী দরবার শরীফের মরহুম পীর হযরত মাওলানা আজগর আলী (রাঃ) মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে শুরু করেন নির্বাচনী গণসংযোগ। মাজার জিয়ারত শেষে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তিনি। এসময় নেতাকর্মীর তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। সভায় উপজেলা বিএনপি সভাপতি এডভোকেট ফখর উদ্দিন আহাম্মদ খানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপি সাধারন সম্পাদক শরীফুল হক স্বপনের সঞ্চলনায় প্রচারনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি যুগ্ম সম্পাদক বেলাল উদ্দিন সরকার তুহিন, সহ-প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইকলিল আযম, জেলা বিএনপি সদস্য এডভোকেট এমএ মান্নান, আইয়ুম খান, কসবা পৌর বিএনপি সভাপতি মোঃ শরিফুল ইসলাম ভ’ইয়া, সাংগঠঠিক সম্পাদক মোঃ কামাল উদ্দিন, এডভোকেট ইসমত আরা সহ অন্যরা। এসময় জেলা ও উপজেলা বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, যুবদল, ছাত্রদল নেতৃবৃন্দসহ সকল অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ধানের শীষের মিছিল নিয়ে সভায় যোগ দেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আলহাজ¦ কবির আহাম্মদ ভ’ইয়া বলেন, শত শত নেতাকর্মী নিয়ে আড়াইবাড়ী দরবার শরীফের মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার আশায় সম্বাব্য প্রার্থী হিসেবে গনসংযোগ শুরু করেছি। গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে নির্বাচনের একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে, নির্বাচন কমিশনার আগামী ফেব্রæয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের পরিকল্পনার কথা বলেছেন। আমরাও উদগ্রীব আমাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার জন্য। আমার দৃঢ় বিশ^াস দল আমাকে মনোনয়ন দিবেন। আমি দীর্ঘদিন ধরে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেছি। ফ্যাসিস্ট সরকারের অনেক নির্যাতন সহ্য করে এলাকার আমার দলের নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম। আমি গুমের শিকারও হয়েছিলাম। ভবিষ্যতেও দলের মনোনীত একজন প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাধ্যমে এলাকার জনগনের অধিকার আদায়ে তাদের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করতে চাই। শুধু নির্বাচন নয়, আমার লক্ষ্য হচ্ছে কসবাÑআখাউড়ার অবহেলিত মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায় এবং এলাকার রাস্তাঘাটসহ সার্বিক উন্নয়ন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করা। পরিবেশ ভালো আমি মনোনয়ন নিয়ে আসবো এবং এখান থেকে নির্বাচন করবো। নির্বাচনের সময় যেহেতু কম তাই আজকে থেকেই নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি। এরপরেও দল যদি আমাকে মনোনয়ন না দলের অন্য কাউকে দেয় তাহলে দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেব। আমি দলকে সবসময় রেসপেক্ট করি। দল যেই নির্দেশনা দিবে আমি তা মাথা পেতে নেব। আমার দলের নেতাকর্মীরা কাজ করতেছে। আমরা দলের চরম দুঃসময়ে মাঠে ছিলাম। সুতরাং এখানে সন্দেহ পোষন করার কোনো কারন নেই। আমি শতভাগ আশাবাদি দল আমাকে মনোনয়ন দিবেন।