Main Menu

কসবায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সেমিনার

+100%-

রুবেল আহমেদ : কসবায় বাংলাদেশের প্রান্তিক পেশাজীবি জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে, উন্নয়ন প্রকল্প (২য় ফেইজ) প্রকল্পের আওতায় অবহিতকরণ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ছামিউল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ আবদুল কাইয়ুম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ বাবুল মিয়া, কসবা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ আলমগীর মিয়া, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মেহেদী হাসান ভূইয়া, কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি আবুল খায়ের স্বপন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রওনক ফারজানা রুবা প্রমুখ। এসময় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বিলুপ্তপ্রায় ১০ প্রকার শিল্পকর্মের সাথে জড়িত লোকজনও বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তাগন বলেন, প্রাচীনকাল থেকে বংশানুক্রমে গড়ে ওঠা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ‘মৃৎ’ শিল্প বাশঁ- বেত পণ্য কাশাঁ- পিতল পণ্য, মুচির মত পেশাগুলো আজ বিলুপ্তির পথে। দিন দিন যেভাবে এই পেশাগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে এই পেশাজীবীরা তাদের এই পেশাটি নিয়ে উদ্বীগ্ন । এই পেশার সাথে ব্যক্তিরা আজ অসহায় ও নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। তারা হারাতে বসেছে তাদের নিপুন শৈল্পিক গুণাবলী। এত কিছুর পরেও অনেকে শত কষ্টের মাঝে তাদের বাপ-দাদার ঐতিহ্য এই পেশা ধরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। পরিবেশবান্ধব দেশের ঐতিহ্যপূর্ণ প্রান্তিক পেশাজীবীদের পন্য সমূহ আধুনিক ও টেকসইকরণ এবং পেশাজীবীদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সমাজসেবা অধিদপ্তর ২০১৭ সালের জুলাই থেকে বাস্তবায়ন করে আসছে বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর এই জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প। প্রকল্পটি দ্বিতীয় সংশোধিত দলিলের মাধ্যমে ডিসেম্বর ২০২২ মেয়াদে বাস্তবায়িত হয়েছে। চলমান প্রকল্পে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বলতে দেশের পিছিয়ে পড়া সেসব পেশাজীবী গোষ্ঠী যারা বংশগতভাবে বিভিন্ন আদি পেশায় ছিলেন, যেমন: কামার, কুমার, নাপিত, বাশঁ-বেত পণ্য, কাঁসা-পিতল সামগ্রী, জুতা মেরামত( মুচি), বাদ্যযন্ত্র, নকশি কাঁথা, লোকজযন্ত্র, শীতল পাটি, শতরঞ্জী তৈরি সহ এ ধরনের সনাতন পেশার সাথে সম্পৃক্ত প্রকল্পের আওতায় কামার-কুমার, নাপিত, বাঁশ-বেতপণ্য প্রস্তুতকারী, কাঁসা-পিতল সামগ্রী প্রস্তুতকারী, জুতা মেরামত প্রস্তুতকারী, মুচিসহ এই ৬ ধরনের আদি পেশার পেশাজীবীদের প্রশিক্ষণ ও অনুদান প্রদান করা হয়েছে। বর্তমান সময়ে প্লাস্টিক পণ্যের কারণে বিলুপ্ত প্রায় এ সকল ঐতিহ্যবাহী আদি পেশাগুলোকে পুনরায় ফিরিয়ে আনাই এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।






Shares