কসবায় জিবি’র নামে চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদে অটো চালকদের সড়ক অবরোধ, আড়াই ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ



কসবা প্রতিনিধি:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সায় জিবির নামে চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে চালকরা। শনিবার ( ২৬ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে শুরু করে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে এ অবরোধ। এতে করে কসবা-কুটি চৌমহনী, কসবা-নয়নপুর সড়কে আড়াইঘন্টা সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে উপজেলা প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় শ্রমিকরা।
জানা যায়, কসবা পৌরসভা থেকে পৌর এলাকায় দুটি অটোরিক্সা ষ্ট্যান্ডকে ইজারা দেওয়া হয়েছে। ইজারাদারা প্রতিটি অটোরিক্সা থেকে ১৫ টাকা করে জিবি আদায় করেন। গত বছর থেকে অটোরিক্সা শ্রমিকরা তার বিরোধিতা করে আসছেন। জিবি’র নামে কোনো প্রকার হয়রানী মানতে নারাজ তারা। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন শ্রমিকরা। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও পৌরসভার প্রশাসক মোহাম্মদ ছামিউল ইসলামসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সাথে কয়েক দফা বৈঠকও করেছেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। পরে ( ২৬ এপ্রিল) শনিবার সকাল ১০টা থেকে জিবি প্রথা বাতিল করার দাবীতে কসবা-নয়নপুর, কসবা-কুটি চৌমহনী সড়কের কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। জিবির নামে চাঁদা বন্ধ না করা পর্যন্ত তাদের এ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দেন। এতে করে দুইদিকে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তির শিকার হন সাধারন যাত্রীরা ।
খবর পেয়ে কসবা থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) সোহেল শিকদার ঘটনাস্থলে পৌছে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলেও আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ ছাড়েননি।
পরে ঘটনাস্থলে যান কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ ছামিউল ইসলাম, কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল কাদের, কসবা পৌর বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল ইসলাম ভুইয়া, কসবা উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর পীরজাদা শিবলী নোমানী, কসবা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো. জিয়াউল হুদা শিপনসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা। দীর্ঘ সময় আন্দোলন কারীদের কথা শোনেন তারা। । উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে অবরোধ তুলে নেয় আন্দোলকারীরা। পরে যান চলাচল শুরু হয়।
অটোরিক্সা চালক লিটন মিয়াসহ একাধিক চালক বলেন, জিবির নামে তাদের কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। এ চাঁদা দিতে দেরি করলেই তাদের গাড়ির চাবি নিয়ে গিয়ে চালায় নির্যাতন। গাড়ীতেও লাঠি দিয়ে আঘাত ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। আমরা এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে প্রতিকার না পেয়ে আন্দোলনে নেমেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জিবি’র টাকা বন্ধ করে দেওয়ার আশ্বাসের প্রেক্ষিতে অবরোধ স্থগিত করা হয়েছে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার প্রশাসক মোহাম্মদ ছামিউল ইসলাম বলেন, যথাযথ নিয়ম অনুযায়ী অটোষ্ট্যান্ড ইজারা দেওয়া হয়েছে। কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নিদিষ্ট ষ্ট্যান্ড ব্যতিত অন্যকোন ষ্ট্যান্ড থেকে জীবির নামে চাঁদা তুলতে পারবে না। জিবি বন্ধের ব্যাপারে শ্রমিকদের আন্দোলনের বিষয়টি উদ্ধর্তন কতৃপক্ষকে অবহিত করে তাদের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।