কসবায় কৃষি অফিসের আয়োজনে কৃষি ও কৃষকের আধুনিকায়নে পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস ২০২৫ অনুষ্ঠিত



কসবা প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এনড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন এন্টারপ্রেণরশিপ এ- রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) এর আওতায় পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তরের উদ্যোগে কৃষি অফিস কার্যালয়ের সামনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার হাজেরা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালন মোঃ আজিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডাঃ মোঃ মোস্তফা এমরান হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ছামিউল ইসলাম ও উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ তারেক মাহমুদ সহ অন্যরা। এসময় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তাপসী রাবেয়াসহ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কর্মকর্তাগন, সাংবাদিক ও গণ্যমান্য লোকজন সহ উপজেলার সকল ইউনিয়নের উপকারভোগী কৃষক-কৃষানীগন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগম বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম।
অনুষ্ঠানে বক্তাগন বলেন, উপজেলায় এই প্রথম অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রকল্পের উদ্যোগে পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠানটি। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে শুরু হয় এই প্রকল্পের কাজ। বিশ^ব্যাংক ও ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (ইফাদ) এবং বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে এই প্রকল্পটি শুরু হয়। কৃষিকে আধুনিকায়ন করতে এই প্রকল্প কাজ শুরু করে। কৃষি মন্ত্রনালয়ের নির্দেশানা মোতাবেক প্রান্তিক পর্যায়ে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর ও কৃষিখাত সংশ্লিষ্ট প্রায় ৮টি প্রতিষ্ঠানের তদারকিতে কৃষি এবং কৃষককে কিভাবে আধুনিকায়ন করা যায় সে লক্ষ্যে কাজ প্রকল্পের উদ্যোগ কাজ চলছে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পার্টনারশীপের মাধ্যমে কৃষকদের স্বাবলম্বি করার পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তিতে কিভাবে কৃষিখাতকে আরও এগিয়ে নেয়া যায় , যেমন- ঘাত সহনশীল ও পুষ্টি সমৃদ্ধ ধানের জাতের উন্নয়ন, বীজ উৎপাদন ও বিপননে কার্যকর নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা এবং উচ্চ ফলনশীল ধানের জাতের আবাদে এলাকা বৃদ্ধি করা। উচ্চফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ করা। এছাড়াও ধান ব্যতিত অন্যান্য দানাদার শস্য, ডাল, তেল ও উদ্যান ফসলের মাধ্যমে শস্য বহুমুখীকরণসহ সমৃদ্ধ পদ্ধতিতে চাষাবাদে কৃষকদের দক্ষ করে তোলা। এই যুগান্তকারী প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের কৃষকদের হাত ধরে কৃষির আধুনিকায়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ হবে।
পরে অতিথিগন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারীদের মধ্যে যারা কাজে দক্ষতা দেখিয়েছেন তাদের মাঝে কাজের উৎসাহ বাড়াতে পুরস্কার স্বরূপ সনদ প্রদান করেন।