Main Menu

সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে পিতা-পুত্রকে কুপিয়ে হত্যা

+100%-
আখাউড়া উপজেলায় বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে ঘটা সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের রাম-দার কোপে নিহত হয়েছেন পিতা-পুত্র। এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন।

মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ঘোলখার গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন গোলাপ খান (৯০) ও তার পুত্র ঘোলখার উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র ইসমাইল খান (১৪)। গুরুতর আহত অবস্থায় গোলাপ খান ও তার পুত্রকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে মঙ্গলবার মধ্যরাতে তারা মারা যান।

ধরখার পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক জানান, বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে ঘোলখার গ্রামের মৃত আজগর আলীর ছেলে আসমত আলী ও রুসমত আলীর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে গোলাপ খানের বাড়ির লোকদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় আসমত আলীর পক্ষের লোকজনের রাম-দায়ের কোপে গোলাপ খান ও ছেলে ইসমাইল খান ছাড়াও তাদের বাড়ির অন্তত ১৫ জন আহত হন। আহতদের সবার মাথায় রাম-দায়ের কোপের আঘাত রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

সংঘর্ষে গোলাপ খানের আরও তিন পুত্র, এক মেয়ে সহ তিন নাতী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গুরুতর আহত গোলাপ খানের পুত্র মুজিবুর খান (৪২) ও তার মেয়ে মাসুদা খানমকে কুমিল্লার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তারা হলেন- গোলাপ খানের পুত্র শাহীন খান (২৮), আজমির খান (২৪), খায়রুল খান (১৪), নাতী সাফায়েত খান (১৮), পিন্টু খান (১৫), ভাতিজা মুসলেম খান (৫০) ও আনোয়ার খান (৪৫)।  

নিহত গোলাপ খানের নাতী নূরে আলম  জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় গোলাপ খান এবং পুত্র মুজিবুর খান  ও ইসমাইল খানকে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত আড়াইটার দিকে ইসমাইল খান ও পৌনে চারটার দিকে গোলাপ খান মারা যান।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা মুজিবুর খান ও কুমিল্লার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মাসুদা খানমের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।  

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, এ ঘটনাটি এখনও কেউ থানায় জানায়নি। কেউ অভিযোগও নিয়ে নিয়ে আসেনি। তবে বুধবার সকাল আটটার দিকে তিনি ঘটনাস্থলের দিকে রওয়ানা হয়েছেন বলে প্রতিবেদককে জানান তিনি।






Shares