প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে মাছ রপ্তানী বানিজ্যে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারীরা জানান, ছোট মাছ রপ্তানীর আড়ালে প্রতিদিন গাড়ি ভর্তি বড় মাছ ও চিংড়ি মাছ ভারতে পাচার হচ্ছে। কাষ্টমস ছাড়পত্রের পর ট্রাকে করে স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় গত শনিবার রাতে ২৭৫ কেজি রপ্তানী নিষিদ্ধ চিংড়ি মাছসহ ১জনকে আটক করেছে বিজিবি সদস্যরা। জানা গেছে, কাষ্টমস কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যবসায়ীর যোগসাজশে এই অপকর্ম হচ্ছে। স্থল বন্দরের কাষ্টমস ও বিজিবি কর্তৃপ জানায়, “আনরাজ ফিস” প্রতিষ্ঠানের একটি মিনি ট্রাক ছোট মাছের ছাড়পত্র নিয়ে স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশকালে বিজিবি সদস্যরা গাড়িটি আটক করে তল্লাশী চালিয়ে রপ্তানী নিষিদ্ধ ২৭৫ কেজি গলদা চিংড়ি আটক করে। পরে বিজিবি সদস্যরা আটককৃত গাড়ি ও চিংড়ি মাছ কাষ্টমসে জমা দিয়ে গাড়ীর চালক আহাম্মদ আলী-(৫০)কে থানায় সোপর্দ করেন। অভিযোগকারীরা জানান, স্থলবন্দর দিয়ে ছোট মাছ রপ্তানীর অনুমোদন থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে বড় জাতের মাছ রুই,কাতলা, চিংড়ি, ইলিশ ইত্যাদি গাড়ি বোঝাই করে সরাসরি ভারতে পাচার হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাধারণ ব্যবসায়ীরা জানান, এতে করে অনেক ব্যবসায়ী রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছে। এ ব্যাপারে আখাউড়া স্থলবন্দর কাষ্টমসের সহকারী কমিশনার শহিদুল ইসলাম বলেন, লোকবলের অভাবে অনেক সময় গাড়িতে মাছের জাত দেখা সম্ভব হয় না। অনুমোদন না থাকায় বিজিবি সদস্যরা মাছ আটক করেছে। আমরা তা নিলাম দিয়েছি। ১২ ব্যাটালিয়ন বিজিবি উপ-অধিনায়ক মেজর শাহজাহান (জি) বলেন, কাষ্টমস ছাড়পত্র নিয়ে অনুমোদনহীন ২৭৫ কেজি গলদা চিংড়ি মাছ ভারতে প্রবেশকালে বিজিবি আটক করেছে। তিনি বলেন, আটক গাড়ি গাড়ী চালক আহাম্মদ আলী-কে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অন্তরালয় সিএন্ডএফ এজেন্টের মালিক হোসেন আহাম্মদ বলেন, কাষ্টমস থেকে ঘোষনা না থাকায় মাছগুলো আটক করেছে বিজিবি সদস্যরা। তিনি এই অবৈধ ব্যবসায় জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন। |