প্রতিনিধি : ঘটনার চারদিন পেরিয়ে গেলেও টর্নেডোতে ক্ষতিগ্রস্থ আখাউড়া উপজেলার আমোদাবাদ গ্রামের ২১৮টি পরিবার সরকারী ত্রাণসামগ্রী পায়নি। সব কিছু হারিয়ে নি:স্ব মানুষগুলো এখনো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মুশফিকুর রহমান সোমবার নি:স্ব পরিবারগুলোতে ত্রাণসামগ্রী বিতরণসহ একটি করে ঘর নির্মান করে দেয়ার ঘোষনা দেন। স্থানীয় এমপি এ্যাড: শাহআলমসহ এলাকার বিভিন্ন স্তরের মানুষ ব্যক্তিগত সহযোগীতায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে। সোমবার বিকেলে সরেজমিনে খোজ নেয়ার সময়, আখাউড়ার আমোদাবাদ গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্য শহীদ মিয়া (৪৫), জাকির হোসেন (২৫), মনির হোসেন (২৭), পুষ্পা বেগম (২৬), আইভি আক্তার (২৩), শরীফ (৩৩), আব্দুল মিয়া (৪৫), গাজিউর রহমান (৫৫) ও আবুল কাশেমসহ অন্তত ৫০ জন জানায়, ঘটনার চারদিনেও সরকারের ঘোষিত ত্রাণসামগ্রী পায়নি। এ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও সাধারণ জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থরা সকলেই খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বিশুদ্ধ পানির অভাবে পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে দুর্গত লোকজন। ক্ষতিগ্রস্থরা জানায়, বিভিন্ন স্তরের লোকজন তাদেরকে শুকনো খাবার সরবরাহ করছে। সোমবার সকালে বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাবেক এমপি মুশফিকুর রহমান বিশুদ্ধ পানির জন্য একটি করে টিউবওয়েল ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্থদের একটি করে হারিকেন প্রদান করেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোতে একটি করে ঘর নির্মানের ঘোষনাও দিয়েছেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন বিএনপি নেতা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুর মিশন, বিএনপি নেতা মো: বাহার মিয়া, জালাল উদ্দিন, যুবদল সভাপতি নাহিদুল ইসলাম, ফয়েজ আহাম্মদ, আক্তার হোসেন প্রমুখ। স্থানীয় এমপি এড.শাহআলম ব্যক্তিগত খরচে প্রতিটি পরিবারে ৮ কেজি করে চাউল বিতরণ করেছেন বলেও জানিয়েছেন। উল্লেখ্য শুক্রবার টর্নেডোর তান্ডবে আখাউড়া আমোদাবাদ গ্রামসহ ব্রাণবাড়িয়ার ১৭টি গ্রামে ২৩জনের প্রানহানীসহ জানমালের ব্যপক য়তি হয়। আমোদাবাদ গ্রামের ২১৮টি পরিবারের বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে যায়। অনেক মানুষ এখানে আহত হয়। এ ব্যপারে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বশিরুল হক ভূঁইয়া জানায়, আমোদাবাদ গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থরা আজ (সোমবার) বিকালেই সরকারী ত্রাণ সামগ্রী পাবে। স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান স্বপন জানায়, আজকেই (সোমবার) সরকারী ত্রাণসামগ্রী পাবে ক্ষতিগ্রস্থ ২১৮টি পরিবার। সরকারী ত্রাণ সামগ্রী ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় আনা হচ্ছে।
|