Main Menu

তিতাস পূর্বাঞ্চলের ১৫টি গ্রাম এখন যেন বিরান জনপথ

+100%-

প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস পূর্বাঞ্চলের ১৫টি গ্রাম যেন বিরান জনপথ। টর্নেডোর তান্ডবে প্রাণ চাঞ্চল্য গ্রামগুলোর সর্বত্র এখন শুধু ধ্বংসের পদচিহ্ন। তিনদিন পেরিয়ে গেলেও স্বজনরা প্রিয়জন হারানোর শোক কাটিয়ে উঠতে পারেনি। টর্নেডোর পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বড় বড় মন্ত্রী, আমলা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের পদচারণা থাকলেও এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সরকারীভাবে পর্যাপ্ত ত্রাণ-সামগ্রী পৌছেনি । এ দিকে জেলা প্রশাসকের হিসাবে মৃতের সংখ্যা ২২ হলে গ্রামবাসী আশঙ্কা মৃতের সংখ্যা অর্ধশতাধিক ছাড়িয়ে যাবে।গতকাল রোরবার দুপুরে আখাউড়া উপজেলার আমোদাবাদ ও টেংড়াপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি পরিবারই খোলা আকাশের নিচে বসে আছে। দুপুর গড়িয়ে গেলেও বেশির ভাগঘরের চুলার উনুন জ্বলেনি। তীব্র সংকট দেখা দিয়ে বিশুদ্ধ পানি ও খারের। বাইরে থেকে কোন লোকজন আসলেই খাবার পাবার আশায় হাত পাতছে তারা। আমোদাবাদ গ্রামের সুদাসন দাশের স্ত্রী মায়া রানী বলেন, অসুস্থ স্বামী বিছানায় ৫ পোলা-মাইয়্যা লহে এই খোলা আকাশের নিচে বসে আছি, সারাদিনে শুধু একটি কলা ও আর এক টুকরা রুটি জুটেছে মাত্র। এই ৩দিন ভাত কি জিনিষ ভুইল্যা গেছি। একই গ্রামের  অমৃত দাস বলেন, বাতাসের কুন্ডলী দেখে পাশের গ্রামে গিয়ে আশ্রয় নেয়। ফিরা আইস্যা নিজের বাড়িঘর চিনতে পারি না। ভাই খামু কি? এখন পর্যন্ত কিছু পাইনি। এই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সামাদ ভূইয়ার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে বিউটি বলেন, বসত ঘরের টিনের চাল উড়ে যাওয়ায় আমাদের এখন খোলা আকাশের নিচে থাকতে হবে। কৃষ্ণ দাস (৬০) দু’ হাত মাথায় দিয়ে বসে আছেন। টর্নেডোর তান্ডব কেটে গেলেও তার মুখের কালো ছায়া কাটেনি। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, শুক্রবার বিকালের পর থেকে আমার ঘরের চুলায় আগুন জ্বলেনি। এলাকার লোকজনের দেওয়া যতসামান্য খাবার খেয়েই বেঁচে আছি। বিকালে আমোদাবাদে উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ বোরহান উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশিরুল হক ভূইয়া, পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান স্বপন সরকারীভাবে বরাদ্দ ত্রান-সামগ্রী বিতরণ করেন। এ দিকে, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাছির উদ্দিন হাজারী আমোদাবাদ ও টেংড়াপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করেন। দুপুরে স্থানীয় প্রেসক্লাবের পক্ষে আহবায়ক রফিকুল ইসলাম ৫ হাজার টাকা (উপজেলা ত্রাণতহবিলে)উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হাতে তুলে দেন।



(পরের সংবাদ) »



Shares