Main Menu

হাসপাতালে পুত্রবধূর মরদেহ রেখে পালালেন শ্বশুর

+100%-

বিজয়নগরে স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে সুখিনা বেগম নামে এক গৃহবধূ  আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুখিনার লাশ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। সুখিনা বেগম চম্পকনগর ইউপির সাটিরপাড়া এলাকার কাইয়ুম মিয়ার মেয়ে ও সৌদি আরব প্রবাসী সাইদুল মিয়ার স্ত্রী৷

জানা যায়, সুখিনা শুক্রবার সকালে স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে পোঁকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। পরে তার শ্বশুর আব্বাস আলী সুখিনাকে প্রথমে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরবর্তীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। ভর্তির কিছুক্ষণ পর সুখিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুর খবর শুনে আব্বাস আলী তার পুত্রবধূ সুখিনার লাশ হাসপাতালের রেখে পালিয়ে যান।

সুখিনার মা সবজান বলেন, ১০ বছর আগে বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউপির বুল্লা গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে সাইদুল মিয়া তার মেয়ে সুখিনাকে প্রেমে ফাঁসিয়ে বিয়ে করেন৷ তারপর ৫ লাখ টাকা যৌতুক দিয়ে সাইদুলকে সৌদি আরব পাঠান৷ সুখিনাকে বিয়ের পর থেকে নানাভাবে অত্যাচার করেন সাইদুল। সাইদুলের কারণে আত্মহত্যা করেছে। মেয়ের মৃত্যুর সঠিক বিচার দাবি জানাই।

বিজয়নগর থানার ওসি রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কেরি পোঁকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।






Shares