Main Menu

বিজয়নগরে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে শতাধিক ঘরবাড়ি ভাংচুর, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

+100%-

মো,জিয়াদুল হক বাবু::  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে কালবৈশাখী ঝড়ে শতাধিক ঘর-বাড়ি ভাংচুর হয়েছে এবং গাছপালা, ফলসি জমি ও বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। সোমবার (১১ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঝড় ও শিলা বৃষ্টির তান্ডবে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘর বাড়ি ভাংচুর ও গাছপালা ও ফসলী জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর মধেয় উপজেলার চরইসলামপুর ইউনিয়নের নাজিরাবাড়ী, মোহাম্মদপুরসহ কয়েকটি গ্রামের বাড়িঘর ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়। তবে এতে কারও হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।তবে পাকা বোরোধান ক্ষেত ও লিচু ও আম বাগানে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।উপজেলার সবগুলো গ্রামে এক সময়ে ঝড় হলেও ঝড়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চর ইসলামপুর, চান্দুরা, চম্পকনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম।

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা উপজেলা প্রশাসনের ৩টি টিম পরিদর্শন সহ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের খোঁজ খবর নিতে মাঠে কাজ করছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার ভোর রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। এতে করে শতাধিক ঘর-বাড়ি ভাংচুর, মৌসুমী ফল আম, লিচু ও বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং গাছপালার ভেঙ্গে বিদ্যুৎ লাইনের মারাত্নক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

চরইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা আফিল উদ্দিন জানান, ঝড়ে তাদের গ্রাম ও আশপাশের গ্রামের কিছু ঘর বাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়েছে। কারও সেমি পাকা দালান কোটা ও টিনের ঘরের চাল উড়িয়ে নিচে পড়েছে। গাছপালা উপড়ে গেছে। ইসলামপুর গ্রামের কাজী জুবেল মিয়া জানান,আমার ৬ কানী জমির বোরোধান একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে।

ইউএনও এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ জানান,ঝড়ে ঘর বাড়ি লন্ডবন্ড হয়েছে এবং কয়েক হাজার হেক্টর পাকা বোরো ধান ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। চরইসলামপুর ইউনিয়নের নাজিরা বাড়ি, মোহাম্মদপুর, চরমাধবপুর, চম্পকনগর ইউনিয়নের পেটুয়াজুরী, চান্দুরা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ঝড়ের সময় শিলাবৃষ্টির কারণে মৌসুমি ফল আম, লিচু, মাল্টা বাগান ও বিভিন্ন ধরনের ফসলের ক্ষতি হয়েছে।প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের খোজ খবর নেওয়া হচ্ছে এবং সহযোগিতা করা হচ্ছে।






Shares